• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দুই সন্তানের কী হবে?

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় লিলি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের কইমারি কাদেরপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর পালিয়ে যান ওই গৃহবধূর স্বামী বাবুল হোসেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, প্রায় ১২ বছর আগে কইমারি কাদেরপুর এলাকার বাবুল হোসেনের (৩৭) সঙ্গে পাশের এলাকা ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া গ্রামের লিলি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে লিলি আক্তারকে নির্যাতন করতো তার স্বামী বাবুল হোসেন। বাবুলের নির্যাতনে এর আগেও তার দুই স্ত্রী সংসার ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। বাবুল হোসেন ও লিলি আক্তার দম্পতির বর্তমানে গোলাম মোস্তফা নামে আট বছরের এক ছেলে এবং আয়শা নামে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। অতিরিক্ত সন্দেহের কারণে লিলি আক্তারকে প্রতিদিন আটকে রেখে ঘরে তালা দিয়ে বাইরে যেতো কৃষি শ্রমিক বাবুল হোসেন। বুধবার রাতে অজ্ঞাত কারণে নির্যাতনের একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন লিলির ছোটভাইসহ পরিবারের লোকজন।

নিহত লিলি আক্তারের চাচা দবিরুল ইসলাম বলেন, বাবুল হোসেন নানা অজুহাতে লিলিকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, সে কখনো বিষ পানে আত্মহত্যা করতে পারে না।

প্রতিবেশী শফিউল আলম বলেন, বাবুল অত্যাচারী ব্যক্তি। সে অন্যের ক্ষতি করে। এর আগেও সে দুইবার বিয়ে করেছিল। কিন্তু তার দুই স্ত্রী সংসার করতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশ সেখানে যায়। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বোদা থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –