পর্তুগালে ১২০০ বছরের পুরনো মসজিদ আবিষ্কার
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২১
‘লিসবোয়া সে’ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের অন্যতম বৃহৎ চার্চ। লিসবনের অন্যতম পর্যটন আগ্রহ। এ ছাড়া স্থানীয় ক্যাথলিক পর্তুগিজদের কাছে এই চার্চটি অনন্য গুরুত্ব বহন করে। এবার সেই চার্চে সন্ধান মিলল আইবেরিয়ান পেনিনসুলা যুগের তৎকালীন আলজেরীয় স্থাপত্যশিল্পের একটি মসজিদ।
ক্যাথলিক দেশ পর্তুগালে ধর্মীয় উপাসনালয়ে এমন একটি মুসলিম ঐতিহ্যকে দেশের জাতীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভেবে আবিষ্কৃত মসজিদ স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার প্রস্তাব ওঠে। অনেকেই এটার অস্তিত্ব না রাখার পক্ষে ছিলেন।
মসজিদ স্থাপত্যটি ভেঙে ফেলার খবরে পর্তুগিজ প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ এবং বেশ কিছু বাম রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করে। এবং স্থাপত্যটি না ভেঙে বরং সেটি সংরক্ষণের দাবি জানায়। তারা মনে করে, মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ আমাদের সম্মিলিত ঐতিহ্য স্মৃতি। এটি ভেঙে ফেলা হবে চরম ঐতিহ্য ধ্বংসের মতো অপরাধ। পর্তুগিজ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পর্তুগিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর (উচেঈ) জেনারেল লিসবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি চার্চে এই স্থাপনা না রেখে বরং মুসলিম ঐতিহ্যের ধ্বংসাবশেষগুলো ভেঙে সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন।
ইতিহাসবিদ হেরমেনেগিলদো ফার্নান্দেস এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পর্তুগিজ একটা মনোভাব হলো তারা ইসলামিক ইতিহাসকে জাতীয় জীবনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করে। তাই পুরনো ইতিহাস আর স্থাপনাগুলো থেকে মুসলিম ঐতিহ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলাও হবে ঐতিহ্য ধ্বংসের মতো একটি অপরাধ। লিসবনের সর্ববৃহৎ চার্চের মধ্যে আবিষ্কৃত মসজিদটি রক্ষায় সোচ্চার পর্তুগিজ আরেক ইতিহাসবিদ ম্যানুয়েল ফিলো বলেন, ‘ইতিহাস মানেই ইতিহাস। পর্তুগিজ ঐতিহ্যে একটি মসজিদও পর্তুগিজ ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরবের অংশ। এ জন্যই আমাদের মসজিদটি রক্ষা করে ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে।’
পর্তুগিজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নির্দেশের পর পর্তুগিজ প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ এবং বেশ কিছু বাম রাজনৈতিক দল এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় এবং তারা ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি জানায়। নানা মহলের চাপে পরিশেষে উচেঈ স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়। এতে স্বস্তি জানান প্রত্নতাত্ত্বিক ও বেশ কিছু ইতিহাসবিদ।
৭১১ সাল থেকে ১৪৯২ সাল পর্যন্ত তৎকালীন আইবেরিয়ান পেনিনসুলা (বর্তমান পর্তুগাল, স্পেন) অঞ্চলে প্রায় সাত শ বছরের দীর্ঘ সময় মুরসরা শাসন করে। সেই সময়ে মনোমুগ্ধকর সব স্থাপত্য, জ্ঞান ও মুসলিম সভ্যতা আর ঐতিহ্যে ইউরোপে আল-আন্দালুস বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছিল। অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলে আলোর দিশা হয়ে মুরসদের আগমন হলেও স্প্যানিশ, পর্তুগিজ অনেক ঐতিহাসিক মুসলিম সেই শাসনকালকে চরমভাবে উপেক্ষা করেন লক্ষ করা যায়। তবু স্পেনের আল-হামরা প্যালেস বা পর্তুগালের পেনা প্যালেস এখনো আছে সেই কালের সাক্ষী হয়ে।
মুরস শাসনকাল শেষে পর্তুগাল, স্পেনের বেশির ভাগ মসজিদই পরবর্তী সময়ে চার্চে রূপ নেয়। প্রায় তিন হাজারের বেশি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ চার্চে রূপ নেয়। পর্তুগিজ জাতীয় জীবনে মুসলিম শাসন অধ্যায়কে নেতিবাচক হিসেবে নিয়ে মসজিদকে চার্চে রূপান্তর, শিক্ষা কার্যক্রমে মুসলিম শাসন ইতিহাস নিয়ে তেমন আলোচনা না রাখাসহ নানা মুসলিম ঐতিহ্য মুছে ফেলার নিদর্শন রয়েছে এখানে। বরং মুরস শাসনকে এ দেশের একটা লজ্জাজনক অধ্যায় হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
পর্তুগালের মেরিটোলা শহর, যেখানে এখনো প্রতিবছর মুসলিম ফেস্টিভাল ‘ফেস্টিভাল ইসলামিকো’ হয়ে থাকে। পর্তুগিজ, স্প্যানিশদের শারীরিক গঠনে এখনো আরব ছাপ রয়ে গেছে। পর্তুগালের অনেক পুরনো কিছু এলাকার নাম অবশ্য এখনো মুসলিম নামকরণের ওপরই স্থায়িত্ব পেয়েছে, যেমন—আল-বুফেইরা, আল-ফামা। তাই সংরক্ষিত ইতিহাসগুলোর পাশাপাশি আবিষ্কৃত প্রাচীন স্থাপত্যগুলোকে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি যথাযথ সংরক্ষণের দাবি প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদদের।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’