• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাবান্ধায় হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কয়ার’। টুইন টাওয়ার কিংবা লন্ডন ব্রিজের আদলে স্থাপনাটির মহাসড়কের দুই পাশে থাকবে পাঁচতলার দুটি ভবন। একটি সেতুর মাধ্যমে ভবন দুটি যুক্ত হবে। সম্পূর্ণ স্থাপনা হবে স্টিল স্ট্রাকচারের।

নান্দনিক এ স্থাপনা নির্মাণ করছে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় তিন কোটি ৭০ হাজার টাকা। দেশের উত্তর অংশকে আরো পর্যটনবান্ধব করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, প্রতি বছর পঞ্চগড়ে প্রায় ৫০ হাজার পর্যটকের আনাগোনা হলেও তেমন অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা গড়ে ওঠেনি। তাই জেলা পরিষদ থেকে দেশের উত্তরের শেষ সীমানা বাংলাবান্ধা এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কয়ার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই মধ্যে স্থাপনার কাজও শুরু হয়েছে। শিগগিরই বাংলাবান্ধার বুকে দৃশ্যমান হবে স্থাপনাটির পুরো অবয়ব।

পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আব্দুল আলীম খান ওয়ারেশী বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কাছেই মহাসড়কের দুই পাশে স্টিল স্ট্রাকচারের দুটি পাঁচতলা ভবন নির্মিত হবে। প্রতিটি ভবনের দৈর্ঘ্য হবে ৩০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট। প্রথম ভবনের নিচতলায় থাকবে ঐতিহাসিক জাদুঘর। সরকারের উচ্চমহলের অনুমতি নিয়ে সেখানে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিসহ ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সম্পাদিত সব চুক্তির চিত্র এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্যচিত্র রাখার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলায় থাকবে আবাসিক সুবিধা। পঞ্চম তলায় ওয়াচ টাওয়ার ও কফি কর্নার থাকবে।

দ্বিতীয় ভবনের নিচতলায় থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সিকিউরিটি ইউনিট। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলায় থাকবে আবাসিক সুবিধা। পঞ্চম তলায় হবে ওয়াচ টাওয়ার ও খাবার হোটেল। দুটি ভবনকে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের একটি সেতু সংযোগ স্থাপন করবে। সেতুটি নির্মিত হবে মাটি থেকে ২৫ ফুট ওপরে। সেতুটির মাঝ বরাবর ৫ ফুট চওড়া একটি রাস্তা রেখে দুই পাশে থাকবে দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর স্টল। সরকারের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের স্টলও রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বাংলাবান্ধায় দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কয়ার নির্মিত হলে পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। পর্যটকদের থাকা-খাওয়াসহ বিনোদনের সুযোগ তৈরি হবে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, পঞ্চগড়ে প্রতি বছর হাজারো পর্যটক ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট দেখতে যান তারা। কিন্তু সেখানে থাকা-খাওয়ার তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। পঞ্চগড়ের পর্যটন শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতেই আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কয়ার’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি এটি নির্মিত হলে পঞ্চগড়ের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –