রাজধানীতে সক্রিয় একাধিক ক্ষিপ্রগতির ছিনতাইকারী চক্র
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯
অবাক হলেও সত্য, রাজধানী জুড়ে রয়েছে চিলের দল! এরা আকাশে উড়ে না, থাকে মানুষের ভিড়ে! শকুনের মতো তাদের চোখ। ব্যর্থ হয় না তাদের টার্গেট। তাদের টার্গেটের শিকার হয়ে অনেকের কান ও গলা বেয়ে পড়েছে রক্ত। কেউ কেউ আবার রাস্তার মধ্যেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বা মাথায় হাত দিয়ে কপাল চাপড়ান। এমন দৃশ্য প্রতিদিনের। এভাবেই রাজধানীতে সক্রিয় চিলরূপী ছিনতাইকারী চক্র।
সম্প্রতি ছিনতাইয়ের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিতা। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, চারদিকে মানুষের কোলাহল। বিমানবন্দরে বাসের সিটে বসে আমি মোবাইলে ব্যস্ত ছিলাম। বাস ছাড়ার মুহূর্তেই জানালা দিয়ে চিলের মত ছো মেরে নিয়ে গেলো আমার মোবাইল ফোন। সবাই অবাক হয়ে দেখলেন। সেদিনের পর থেকে ছিনতাই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায় আমাকে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ বাস থেকে যাত্রীর ফোন নিয়ে পালাচ্ছে একজন ছিনতাইকারী। মুহূর্তেই পুলিশ ও পথচারীদের ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেল সে।
পথচারীদের অভিযোগ, ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটকে খুব ভালো করে চেনে পুলিশ। আবার ফুটপাতের দোকানীদের সঙ্গেও ছিনতাইকারীদের রয়েছে সখ্যতা। কিন্তু এমন অভিযোগ মানতে নারাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের সামনে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাজই হলো যাত্রীদের নিরাপত্তা দেয়া। রাস্তায় নানা রকমের মানুষের চলাচল। তাই কে ভালো, কে ছিনতাইকারী বোঝা খুবই মুশকিল। তারপরও মাঝে মাঝে ছিনতাইকারী ধরে চালান দিয়ে থাকি।
এনজিও কর্মকর্তা পারুল আক্তার। নওগাঁ থেকে মাঝে মাঝে স্বামীর কর্মস্থল ঢাকাতে আসেন ছুটি কাটাতে। তিনি বলেন, সম্প্রতি রিকশাযোগে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বেলা ১১টার দিকে রিকশার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন অনেক পথচারীও। হঠাৎ একজন তার গলা থেকে এক ভরি স্বর্ণের চেইন টান দিয়ে নিয়ে দৌঁড়ে চলে গেল। সে সময় পুলিশের ভুমিকা ছিলো নিরব।
তিনি বলেন, এখনো মনে হলে চমকে উঠি! ভুলে যেতে চাই সেদিনের মর্মান্তিক স্মৃতি। দিনদুপুরে শত শত মানুষের সামনে গলা থেকে স্বর্ণের চেইন নিয়ে গেল ছিনতাইকারী, গলা থেকে বেয়ে পড়ছিল রক্ত। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করলেন না। অবাক লাগে মাত্র ৫ গজ দূরে পুলিশের সামনে টান দিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে গেল এক ভরি স্বর্ণের চেইন। সেদিনের পর থেকে ঢাকা মানেই আতঙ্ক মনে হয়।
রাজধানীর ব্যস্ততম বাস স্টপেজ ঘুরে জানা যায়, ছিনতাইকারীদের দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের নানা কৌশল। তাদের প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করা রয়েছে। কে কোন দিন কোথায় কাজ করবে, তা ভাগ করে দেয়া হয় আগের দিন রাতেই। এদের পরিচালনায় রয়েছে একাধিক চক্র।
উত্তরার আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের আনাগোনা সব সময় দেখা যায়। এছাড়া খিলক্ষেত, কাকলী সিগন্যাল, মহাখালী আমতলী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মতিঝিল, মিরপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের অবস্থান রয়েছে।
ছিনতাইকারী সদস্যদের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, যখন বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকেন যাত্রীরা, সে সময় ছিনতাইকারীরা টার্গেট করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে। ভিড়ে উঠা-নামার সময় ব্যাগ, মোবাইল ফোন সেট ও স্বর্ণালঙ্কার চিলের মতো ছো মেরে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ছিনতাইকারীরা যানজটকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে। তারা যানজটে আটকা পড়া রিকশার যাত্রী, বাসে জানালার পাশে বসে থাকা যাত্রীর মোবাইল ফোন, কানের দুল ও গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এমনকি প্রাইভেটকারে বসে থাকা মালিকরাও রেহাই পাননা তাদের হাত থেকে।
ভুক্তভোগী মাহাবুবুর রহমান জানান, সম্প্রতি আমার প্রাইভেটকার নিয়ে প্রতিদিনের মত টঙ্গীর বাসায় যাচ্ছিলাম। এসময় আব্দুল্লাহপুর থেকে চিলের মতো ছো মেরে আমার ফোনটা নিয়ে গেল ছিনতাইকারী। সেদিনের কথা মনে হলে স্তব্ধ হয়ে যাই! প্রকাশ্যে পুলিশ ও পথচারীদের সামনে এমন ছিনতাই হয় কিভাবে। এই দুর্বৃত্তরা এ এলাকার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আলামিন নামে এক ব্যক্তি কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, আমি পাঠাও এর মাধ্যমে গাড়ি চালাই, সেই সুবাদে দিনরাত রাজধানীর ব্যস্ততম রাস্তায় চলাচল করি। কিছুদিন আগে ঢাকা কলেজের সামনে এক ছিনতাইকারীকে সুপারম্যানের মতো বাসের জানালা দিয়ে এক যাত্রীর কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল নিয়ে পালাতে দেখেছি। যা দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি।
তিনি আরো জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত গাড়ির সামনে দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে রাস্তার বিপরীত দিক দিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
ছিনতাইকারী সদস্য সানি (ছদ্ধনাম), বিশ্বাস করে কইতাছি আপনি কিন্তু টিভিতে দেখাইন না আমাকে? আমগো জায়গা ভাগ কইরা দেয়া হয় রাইতে। কে, কোথায় কাজ করুম। আমরা তিন থ্যাইকা চারজন বিমানবন্দরে কাজ করি বেশি।
বিমানবন্দরে কেন? জানতে চাইলে সে বলে, এই এলাকার সব চিপাচাপা আমার ছোটকাল থ্যাইকা পরিচিত, এমন কি পুলিশরাও ধাওয়া দিলে পালাতে সহজ হয়। সারাদিন বিমানবন্দর স্টেশনে থাকি। দু’একটা ছিনতাইয়ের অপেক্ষায়।
ছিনতাইকারী সবুজ (ছদ্ধনাম)। সে প্রতিদিন ফার্মগেট ওভারব্রিজ থেকে কারওয়ান বাজার সিগন্যাল পর্যন্ত ছিনতাইয়ে নিয়োজিত থাকে। এখানে সদস্য রয়েছে ১০ থেকে ১৫ জন। এরা যখন ছিনতাইয়ে চূড়ান্তভাবে নেমে পড়ে তখন যাত্রী বেশে পাশেই থাকে আরো দুই থেকে তিনজন। ঝামেলা সামাল দিতে তাদের ভূমিকা থাকে ভদ্রবেশে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফার্মগেটে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, ভাই আসলে আমরা রাস্তায় গাড়ি সামাল দিতেই সময় পাইনা। তাই ছিনতাইকারী নিয়ে তেমন কাজ করার সুযোগ থাকে না। এর মধ্যেও চেষ্টা করি যাতে সবাই নিরাপদে চলাচল করতে পারে। আবার অনেক জায়গাতে মাইকিংও করা হয় সচেতন থাকার জন্য।
এ বিষয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারি পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আমরা রাস্তায় ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে থাকি। তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আবার ছিনতাইয়ে লিপ্ত হয়। এরা একটি সংঘবদ্ধ দল। একত্রিত হয়ে ছিনতাই করে থাকে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’