শেখ হাসিনা: আওয়ামী লীগের দেদীপ্যমান সূর্য
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বাঙালির মুক্তির ম্যান্ডেট এবং স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দানকারী এই দলটিকে। ঘনকালো আঁধারে ঢেকে যায় পুরো দেশ। স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এবং স্বৈরাচার এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে দুর্বত্তায়ন চালায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। ফ্রিডমপার্টি গঠন করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। স্বৈরাচারদের শোষণ ও তাদের মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তদের নির্যাতনে অস্থির হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ এই রাজনৈতিক দলকে। সংবিধানের চার প্রধান স্তম্ভকে পদদলিত করে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়। উত্থান ঘটে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর।
ঠিক এমন এক বিপদসংকুল সময়ে, আওয়ামী লীগের হাত ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পিতার প্রতিষ্ঠা করা দেশের মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য, নিজের জীবন বিপন্ন করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর, রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র দলগুলো জনপ্রিয় ভোটে এগিয়ে থাকলেও, সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। তবে বিরোধী দলের আসনে বসেও রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখেন। অবশেষে শেখ হাসিনার এই উদ্যোগের কারণেই দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসে। সেই থেকে তিনি আমাদের গণতন্ত্রের মানসকন্যা। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক আলোকিত নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে সরকারে নিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দক্ষ শাসনামলে প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বাংলাদেশ। দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশ বিশ্বের বুক থেকে মুছে দেয় তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ। ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে দেশে ২ কোটি ৫০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় ২৯ লাখ মেট্রিক টন বেশি। এমনকি ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যাপরিস্থিতিও মোকাবিলা করেন শক্ত হাতে। দেশের ৭০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওয়ায়, বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হয়েছিল- অসুখে ও খাদ্যাভাবে এক কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বন্যাজনিত অভাব বা অসুখে কাউকে প্রাণ হারাতে হয়নি। শেখ হাসিনার এই শাসনামলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক ইমেজ নিয়ে উঠে আসে বাংলাদেশ। আধুনিক বাংলাদেশে দক্ষ সুশাসকের প্রতীক হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা।
কিন্তু দেশের স্বার্থ বিকিয়ে না দেওয়ায়, ২০০১ সালের নির্বাচনে, দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রীদের যোগসাজসের কারণে হারতে হয় আওয়ামী লীগকে। বহুমুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেও জনপ্রিয় ভোটের হিসেবে আওয়ামী লীগ ৪০.০২ শতাংশ ভোট অর্জন করে, বাকিরা জোট করেও মাত্র ১.৩৮ শতাংশের বেশি ভোটে আওয়ামী লীগকে পিছিয়ে ফেলতে পারেনি। এই আমলে দেশকে অপরাধ ও উগ্রবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে বিএনপি-জামায়াত জোট। গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে একাত্তরের খুনি ও ধর্ষক রাজাকাররা। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তারেক রহমানের পরিকল্পনায় শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। সামাজিক নৈরাজ্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এক পর্যায়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ফলে, দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে, নামকাওয়াস্তে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি এক সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করে তারা। এর আগেও, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একদলীয় সাজানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি। পরবর্তী পরিস্থিতিতে একই বছরের ১২ জুন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ৪ শতাংশের বেশি ভোটে বিশাল জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ।
২০০৭ সালেও কুচক্রীদের সাজানো নির্বাচনের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থানের কারণে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের শোষণের বিরুদ্ধে জনরোষ, খালেদা-তারেক গংদের হঠকারিতা এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবে দেশে সৃষ্টি হয় এক নতুন সংকট। সামরিক নেতৃত্বের সহায়তায় ক্ষমতা গ্রহণ করে তথাকথিত সুশীলদের ব্যানারে এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। রচিত হয় কলঙ্কজনক ওয়ান-ইলেভেন বা এক-এগারোর পটভূমি। মাইনাস টু ফর্মূলার নামে মূলত মাইনাস ওয়ান তথা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া ওঠে এরা। এর আগে, ২০০৪ সালের তারেক রহমানের নির্দশনার গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয় তাকে। সেসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রাণ রক্ষা করেন। কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তার কান ও চোখ। এই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হতো তাকে। সেই চিকিৎসার জন্যই ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তিনি। এই সুযোগে তার দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
রাজনীতি ও দেশ থেকে নির্বাসনে গিয়ে, বিদেশে নিরাপদ জীবনযাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু তিনি সব প্রলোভন প্রত্যাখান করেন। দেশের পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে, দ্রুত চিকিৎসা শেষ করে, গ্রেফতারের হুমকি পরোয়া না করে, অমিত বিক্রমে ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে ফিরে আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তুমুল হর্ষধ্বনি দিয়ে তাকে বরণ নেন বাংলার জনতা। শুধু বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার আপসহীন মনোভাবের কারণেই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র লুট করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই, একটি সাজানো মামলায় তাকে অবৈধভাবে আটক করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায় সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। প্রিয় নেত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ঝিনাইদহ, নাটোর, চাঁদপুর ও ভোলার মোট চার জন ব্যক্তি। দেশজুড়ে ক্ষোভ সঞ্চার হয়। নিঃসঙ্গ জেলে চিকিৎসাহীন অবস্থায় রেখে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু তবুও মানসিকভাবে অবিচল ছিলেন তিনি। অবশেষে, ৩৩১ দিনের অবরুদ্ধ সময় শেষে, ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই, শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় কুচক্রীরা। জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন জননেত্রী। দ্রুত নির্বাচনের জন্য তীব্র জনদাবি গড়ে তোলেন। ফলে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে ইয়াজউদ্দীন-ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সরকার। এই নির্বাচনে একচেটিয়াভাবে ভাবে জিতে, অন্ধকারে ছেয়ে থাকা দেশকে আলোক বন্যায় ভাসান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
শেখ হাসিনা, যার আলোয় নতুন রূপে জ্বলে ওঠার প্রেরণা পেয়েছে আওয়ামী লীগ; কিন্তু তিনি শুধু একটি দলের প্রধান নন, শেখ হাসিনা- আপামর বাঙালির আবেগের নাম। অন্ধকার রাতে তুমুল আলোর ঝলক তিনি, তার হাত ধরেই নতুন করে ফিরে এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ। আজকের এই আধুনিক বাংলাদেশ পুরোটাই শেখ হাসিনার অবদান।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’