১৪ কোটি মানুষকে টিকা প্রয়োগে সরকারের মহাপরিকল্পনা
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১
দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্য নিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। কী আছে সার্বিক এই মহাপরিকল্পনায়, কোন পর্যায়ে, কারা করোনা ভ্যাকসিন পাবে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া, ভ্যাকসিন সংরক্ষণ কীভাবে হবে, কীভাবে পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে, টিকাদান কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ও টিকা প্রয়োগকারী দলে কারা থাকবে, টিকাদান-পরবর্তী বিরূপ ঘটনা তদারকি, এই সবকিছু রয়েছে সরকারের পরিকল্পনায়।
এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দেওয়া হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে মোট জনগণের তিন শতাংশ অর্থাৎ ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮২ জনকে, দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া হবে ৭ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৭ জনকে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ১১ থেকে ২০ শতাংশ জনগণ অর্থাৎ এক কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৮ জন মানুষকে।
তৃতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে ২১ থেকে ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৭ জন মানুষকে।
সবশেষ চতুর্থ পর্যায়ে করোনা টিকা দেওয়া হবে ৪১ থেকে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৪ জন মানুষকে। এভাবে মোট চারটি পর্যায়ে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ মোট ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
কোন পর্যায়ে কারা টিকা পাবেন
প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা কর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, সরকারি কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ধর্মীয় নেতা, মৃহদেহ সৎকার কর্মী, ব্যাংক কর্মচারী, প্রতিরোধক্ষমতা কম এমন জনগোষ্ঠী এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের একটি অংশকে টিকার আওতায় আনা হবে।
প্রথম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া হবে প্রথম ধাপে বাদপড়া ব্যক্তি ও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের।
এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা টিকা দেওয়া হবে ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তি, যে কোনো বয়সের অসুস্থ ব্যক্তি, শিক্ষক, দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠী, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, গণপরিবহন কর্মী, গার্মেন্টস কর্মী এবং হোটেল রেস্তোরাঁ ও ওষুধের দোকানের শ্রমিকদের।
তৃতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, শিল্প শ্রমিক, বস্তি ও ভাসমান জনগোষ্ঠী, কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে নিয়োজিত শ্রমিক এবং গৃহহীন বা ছাত্রাবাসে বসবাসকারী মানুষকে।
সবশেষ চতুর্থ পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে, তিন পর্যায়ে দেওয়ার পর বাকি সবাইকে। অর্থাৎ বাকি ৪০ থেকে ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে।
টিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়া
টিকা প্রয়োগের আগেই নিবন্ধন করতে হবে। মূলত ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন নিবন্ধন করা হবে। এ জন্য অনলাইন নিবন্ধন, ভ্যাকসিন কার্ড, সম্মতিপত্র, ভ্যাকসিন সনদ প্রদানে ‘সুরক্ষা ওয়েবসাইট’ নামে ওয়েবসাইট প্রস্তুত করা হয়েছে।
অনলাইন নিবন্ধনের পরেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যাবে একটি কার্ড। টিকা গ্রহণকারীকে এই কার্ড সঙ্গে নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসতে হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রতি ব্যক্তির সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ মিনিট।
ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও পরিবহন
বাংলাদেশে অতি নিম্ন মাত্রায় ভ্যাকসিন রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। সে ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন আসামাত্র সব ভ্যাকসিন অতি দ্রুত নির্ধারিত জনগণকে প্রয়োগ করা হবে। এ জন্য তাদের জন্য টিকার দ্বিতীয় কোনো ডোজ সংরক্ষণ করা হবে না। পরবর্তী ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে। পরিবহনের কথা বিবেচনায় রেখে প্রথম পর্যায়ে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত জনগণকে টিকা দেওয়া হবে।
ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় সব পর্যায়ের ইপিআই স্টোরে ও পরিবহনের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত করতে সবসময় নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে।
কমপক্ষে এক মাস বিরতিতে প্রতিবার ৫০ লাখ ভ্যাকসিন এলে দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সংরক্ষণ ও পরিবহনে কোনো অতিরিক্ত স্থানের প্রয়োজন নেই। তবে, এর বেশি ভ্যাকসিন একবারে আসলে ৬৭ দশমিক ১৪ ঘনমিটার কোল্ড স্পেস বা ফ্রিজ স্পেস প্রস্তুত করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রতি জেলার জন্য অতিরিক্ত ১৭৯টি আএলআ বা ৩১২টি ডিপ ফ্রিজ এবং উপজেলার জন্য ২৯৪টি আইএলআর বা ডিপ ফ্রিজের ব্যবস্থা করা হবে।
টিকাদান কর্মকৌশল
প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হবে।
টিকা দল
প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে মোট ছয়জন করে কাজ করবেন। যার মধ্যে দুজন দক্ষ ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
হিসাব অনুসারে মোট ৭ হাজার ৩৪৪টি টিকা দল থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে একদিনে সর্বোচ্চ ৮০ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। একজন ব্যক্তিকে প্রথম ডোজ দেওয়ার ৮ সপ্তাহ বা দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
টিকা প্রদানের আগে ও পরে তাদের কিছু সময় কেন্দ্রে অবস্থান করতে হবে। সম্মতিপত্রে নেওয়া হবে স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে টিকা নেওয়ার লিখিত সম্মতি।
টিকা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা
টিকাদান কেন্দ্রে আসা ও কর্মরত সব ব্যক্তিকে মাস্ক পরতে হবে। সাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। টিকা দেওয়ার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। অসুবিধা হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
টিকাদান-পরবর্তী বিরূপ ঘটনায় সারভিল্যান্স করোনা টিকা দেওয়ার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ক্লান্তি, জ্বর, মাথাব্যথা হতে পারে। তবে, তা কয়েক দিনের মধ্য সেরে যায়। সেক্ষেত্র বড় ধরনের কোনো জটিলতা নিরসনে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তাদেরকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। তারা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখবেন টিকা গ্রহণকারীকে।
মূলত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণে সরকার এই পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এ বিষয়ে কোর কমিটি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইডের সার্বিক পরামর্শের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে এর সংশোধনও করা হবে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’