• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০  

পঞ্চগড়ে টানা নয়দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৮ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ মধ্যেই উঠানামা করে। 

টানা ৯ দিন ধরে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়া, নিউমনিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন আয় কমে গেছে। তবে গত কয়েকদিনের মত শনিবারও সকালের পর ঝলমলে রোদ দেখা গেছে। দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও দুপুরের পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আর বিকেলের পর শুরু হয় শৈত্যপ্রবাহ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, বর্তমানে পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ এর মধ্যে অবস্থান করা অবস্থাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শীত মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারিভাবে দুঃস্থ ও শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও শুকনো খাবার বিলি করা হচ্ছে। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার শীতের কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শীতবস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ পাওয়া ৩০ লাখ টাকার মধ্যে জেলার পাঁচ উপজেলার প্রত্যেক উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে উপজেলায় শীতবস্ত্র ক্রয় ও বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরো বলেন- সরকারের কঠোর নির্দেশনায় আমরা মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করছি। শীতার্ত মানুষের শীত নিবারনে সরকার বদ্ধ পরিকর। বর্তমান সরকারের আমলে কাউকে শীতে কষ্ট করতে হবে না। এ জন্য সরকার পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বরাদ্দ দিয়েছেন। আশা করছি আরো বরাদ্দ পাবো। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –