আব্বাস-গয়েশ্বর-রিজভীর নেতৃত্বে নতুন বিএনপির গুঞ্জন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নতুন এক বিএনপি গঠনের গুঞ্জন উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুমের নাটক উন্মোচন করায় মির্জা আব্বাসকে শোকজ ও রুহুল কবির রিজভীকে এরই মধ্যে দফতর থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আরো নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। তবে নতুন রাজনৈতিক দলের নামের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।

গত রোববার বিকেলে শ্যামলীর আদাবরে রিজভীর বাসায় তার খোঁজ নিতে যান মির্জা আব্বাস। সেখানেই নতুন দল গঠনের নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় একান্তে আলাপ হয়।

এ সময় মির্জা আব্বাসের সঙ্গে বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম মাহবুবও উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা রিজভী-আব্বাসের গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে ঈদুল ফিতরের দিন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে আদাবরের নিজ বাসায় বৈঠক করেন রিজভী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এখন বড় সংকটে রয়েছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দল, পরিবার এবং তারেক রহমানের নোংরা রাজনীতির কারণে রীতিমতো বিরক্ত দলের সিনিয়র নেতারা। হেফাজতের তাণ্ডবের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অর্থ জোগানসহ নানা ইস্যুতে ভঙ্গুর বিএনপি।

এছাড়া দলের ভেতরে বিভক্তি ও দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান দলের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে অপরাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিনিয়ত অবমূল্যায়ন করছেন সিনিয়র নেতাকর্মীদের। সব মিলিয়ে তারেক রহমানের প্রতি এক ধরনের চাপা ক্ষোভ রয়েছে নেতাকর্মীদের।

আর খালেদা জিয়ার সময় ও গুরুত্ব ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন আর শুধু গুঞ্জনই নয়, এসেছে প্রকাশ্যেও। তাই দলের অস্তিত্ব টিকে থাকার সংশয় থেকে বিএনপির ক্লিন ইমেজের নেতাদের দ্বারা নতুন দলের আবির্ভাব হওয়াটা খুব একটা বড় বিষয় নয় বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।