• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দ্বিতীয় দফা লকডাউনে রংপুরে বেড়েছে মাস্কের দাম

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১  

সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আবারো লকডাউন ঘোষণার দিয়েছে সরকার। আর ‘লকডাউনের’ ঘোষণার পর আচমকাই রংপুর শহরে বেড়ে গেছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ও দাম।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে নগরীর জাহাজ কোম্পানি,পায়রা চত্ত্বর,কাচারি বাজার, ধাপ, মেডিকেল মোড়, চেক পোস্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাত্র কয়েকদিনের তুলনায় আবার বেড়ে গেছে মাস্কের চাহিদা। দামও বেড়ে হয়েছে দ্বি-গুন। এছাড়াও দাম বেড়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। তবে আগের দামে রয়েছে গ্লোভস্ ও জীবানুনাশক স্প্রের।

জাহাজ কোম্পানি মোড়ে ফুটপাতে মাস্ক বিক্রেতা আবির মিয়া বলেন, ফেইস মাস্কের বাক্স ১৪০ টাকায় কিনতাম। সেটা সরকার লকডাউন দেয়ার পর ২২০ টাকায় কিনেছি। ফলে আগে চার পিস ১০ টাকায় বিক্রি করতাম। এখন দুই পিস ১০ টাকায় বিক্রি করছি।

টার্মিনাল এলাকায় ফার্মেসির বিক্রেতা নুর আলম বলেন, মাস্ক ও স্যানিটাইজার পর্যাপ্ত আছে। আমরা বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লকডাউন ঘোষণার পরই পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। তাই বাড়তি দাম দিয়ে বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে।

মাস্ক কিনতে আসা লিমন মিয়া বলেন,সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও জীবিকার তাগিদে বাসার বাইরে বের হতে হচ্ছে। আর তাই কিছুটা ঝুঁকি এভাতে প্রতিদিন মাস্ক পড়ে বের হতে হয়। দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ সেই মাস্ক কিনতে দ্বিগুন দাম দিতে হচ্ছে।

রংপুর ভোক্তা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা বেলাল আহম্মেদ বলেন, লকডাউনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী করে বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করে। তাই মাস্কসহ এসব পণ্যের বাজার পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণেও রাখা জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –