• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

৩২ বছর পর জলহস্তীর বাচ্চা প্রসব, দর্শনার্থীদের ভিড়

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২২  

রংপুর চিড়িয়াখানায় গতকাল বিকেলে দর্শনার্থীর সমাগম একটু বেশিই ছিল। প্রায় সবারই কৌতূহল জলহস্তী থাকার জায়গাটি ঘিরে। কারণ ৩২ বছরে এখানে প্রথমবারের মতো একটি জলহস্তী বাচ্চা প্রসব করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাচ্চা প্রসব করে জলনূপুর নামের এই জলহস্তী।

দর্শনার্থী আরজু মিয়া বলেন, ‘জলহস্তীর বাচ্চা দেখে খুবই ভালো লাগছে। এই প্রথম আমার জীবনে একটি জলহস্তীর ছোট বাচ্চা দেখলাম। ’

আরেক দর্শনার্থী নুরুল ইসলাম রবিন বলেন, ‘খবরটি শুনেই ছুটে এলাম দেখতে। দেখে অনেক আনন্দ লাগছে। ’

রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এবারই প্রথম জলহস্তী বাচ্চা দিল।

রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা এইচ এম শাহাদাত জানান, আট মাস প্রতীক্ষার পর এই নতুন অতিথির আগমন। বাচ্চার ওজন ২৯ থেকে ৩০ কেজি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। তাঁরা সর্বোচ্চ যত্ন-আত্তি করছেন, যাতে বাচ্চার সমস্যা না হয়।

রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আমবার আলী তালুকদার জানান, জলনূপুরের গর্ভে বাচ্চা আসার পর থেকেই বিশেষ পরিচর্যা করা হয়। তবে বাচ্চা জন্মের কয়েক মাস আগেই পুরুষ জলহস্তীটি মারা গেছে। বর্তমানে জলনূপুর ও তার বাচ্চা সুস্থ আছে।

জলহস্তী মূলত আফ্রিকার একটি তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী। ২০০৬ সালে জলহস্তীকে প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউসিএন) লাল তালিকায় একটি সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করে। তখন জলহস্তীর মোট সংখ্যা ছিল এক লাখ ২৫ হাজার থেকে দেড় লাখের মধ্যে।

আইইউসিএন ১৯৯৬ সালের পর থেকে এ বিষয়ে গবেষণা করে চিহ্নিত করেছিল যে জলহস্তীর আনুমানিক সংখ্যা ৭ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তখন জাম্বিয়ায় ৪০ হাজার এবং তানজানিয়ায় ২০ থেকে ৩০ হাজার জলহস্তী টিকে ছিল।

জলহস্তী সম্পর্কে প্রচলিত একটি মজার ধারণা রয়েছে। বলা হয়, এরা যখন হতাশ হয় বা কোনো বিশেষ কারণে বেশি কষ্ট পায়, তখন এদের শরীর থেকে ঘামের পরিবর্তে রক্ত ঝরে। এ ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। আসলে জলহস্তীর শরীরে থাকা মিউকাসজাতীয় এক ধরনের তেলতেলে পদার্থ নির্গত হয়। একে রেড অয়েলও বলে। এটা ঘামের সঙ্গে মিশে বাতাসের সংস্পর্শে এলে লাল রং ধারণ করে। এটাকে ভুল করে রক্ত মনে করে মানুষজন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –