• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

একদিনে ৮ কোটি ডলার বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২  

দেশে অব্যাহত রয়েছে ডলারের সঙ্কট। খোলাবাজারে ডলার এখন ১১৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকা ৩০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্যাংকগুলোতে বিক্রি চলছে ৯৫ টাকা থেকে ৯৬ টাকার মধ্যে। এ অবস্থায় ডলার মার্কেট স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। 

মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ৯৫ টাকা দরে মোট ৮০ মিলিয়ন বা ৮ কোটি মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশের ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, তার চেয়ে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি দামে ওই ডলার বিক্রি করতে পারবে। একই সঙ্গে রফতানি আয় দ্রুত দেশে এনে তা নগদায়ন করতে হবে। গত রোববার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সভায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের ক্রয়-বিক্রয় হারের মধ্যে ১ টাকার ব্যবধান বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আশার কথা শুনিয়ে বলেন, শিগগিরই ডলারের সঙ্কট কেটে যাবে। বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ইতোমধ্যে কার্ব মার্কেটে বেশ খানিকটা কমেছে। তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণেই বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই চাহিদা পূরণের জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে ডলার ছাড়া হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ এটি। যখন বাজারে ডলারের ঘাটতি দেখা দেবে তখন ডলার বিক্রি করা হবে। আবার যখন সরবরাহ বেশি হবে তখন কেনা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে রিজার্ভ পরিস্থিতিও সব সময় বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। ঢালাও বিক্রি করলে রিজার্ভ কমে আসবে। সেক্ষেত্রে অন্য সমস্যা হবে। সে কারণেই ভেবেচিন্তে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি বিক্রি করা হচ্ছে।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তাণ্ডবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব দেশের মতো আমাদেরও আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে রিজার্ভের ওপরও চাপ পড়েছে। তবে সুখের খবর হচ্ছে, আমদানি কমতে শুরু করেছে। রফতানির পাশাপাশি রেমিটেন্সও বাড়ছে। শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –