• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফিরবে না ‘বুকের মানিক’, বাঁচার আশা হারালেন মা

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

স্বামীকে হারিয়ে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলেন উম্মে হাবিবা কুলসুম। ছেলেকে ঘিরেই ছিল তার সব আশা-ভরসা। শেষমেশ বুকের মানিকটাও চলে গেল না ফেরার দেশে। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বনকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন হতভাগিনী এ মা।

কুলসুমের একমাত্র ছেলের নাম অলিউল হাসান জুয়েল। রংপুরের তারাগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে প্রাণ হারান তিনি। রোববার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটলেও সোমবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে মারা যান এ যুবক।

জুয়েল নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ছিলেন। তার বাবার নাম মঞ্জু সরকার। তিনি দিনাজপুর শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা-ইন-প্যারামেডিকেলে পড়াশোনা করেন। লেখাপড়া শেষে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে তাসিন ও রেখা এন্টারপ্রাইজ কাউন্টারে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন।

নিহত এ ছাত্রলীগ নেতার বাড়ির যেতেই দেখা মেলে মা কুলসুমের আহাজারির দৃশ্য। তার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। জুয়েলের এমন মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন আত্মীয়-স্বজনও।

প্রতিবেশীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুরের উদ্দেশ্যে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ঢাকাগামী জোয়ানা পরিবহনের বাসে ওঠেন জুয়েল। পথে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে পৌঁছালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে ভোরে তিনি মারা যান।

স্থানীয়রা জানায়, রাত থেকে ওই এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির মধ্যেই রাত সোয়া ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের শলেয়াশাহ খারুভাজ সেতুর কাছে জোয়ানা পরিবহনের সঙ্গে ইসলাম পরিবহনের বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন ও হাসপাতালে আরো চারজন মারা যান। আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক যাত্রী।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –