• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নীলফামারীতে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২  

১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১’এর এই দিনে নীলফামারীর আকাশে উদিত হয় স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত সবুজের বুকে রক্ত লাল পতাকা। এই দিনে নীলফামারী হয় হানাদার মুক্ত।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর/২২) সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দিবসটি উৎযাপন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, সন্তান কমান্ডসহ সর্বস্তরের মানুষ।

এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে একটি বিশাল র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

এসময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক হাফিজুর রশিদ প্রামানিক মঞ্জুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নুর এমপি।

প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মমতাজুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ড কাউন্সিল পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন নাহার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমানসহ আরো অনেকে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর দামাল ছেলেরা দেশ মাতৃকাকে হানাদারমুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পরে। পাক হায়েনারা যুদ্ধের নামে বাংলার মানুষদের হত্যাযজ্ঞসহ নির্যাতন ও ধর্ষণে মেতে উঠে। নীলফামারী সরকারি কলেজ, কলেজ ছাত্রাবাস ও ভকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে গড়ে তুলে সেনা ক্যাম্পের নামে শক্ত ঘাটি।

তারা আরও বলেন, টানা ৯ মাসের যুদ্ধে ক্যাপ্টেন বাশার, আলী হোসেন, আহমেদুল হক প্রধান, আনজারুল হক, ধীরাজ, জাহেরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, মিজানুর রহমান, মির্জা হাবিবুর রহমান বেগসহ ১৭জন বীর যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। টানা ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হায়েনাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করা হলেও আজও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে ওত পেতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –