• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ময়নাতদন্তের পর মাইশার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২  

কুড়িগ্রামে হাতের আঙুল অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশু মারুফা জাহান মাইশার মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীবুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত করা হয়।

শিশু মাইশার হাত আগুনে পুড়ে গেলে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। চিকিৎসক আঙুলের পরিবর্তে তার পেটে অস্ত্রোপচার করেন। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়।

পরে ৫ ডিসেম্বর মাইশার বাবা মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্রোপচার আয়োজনকারী চিকিৎসক আহসান হাবীব, অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম ও অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক রনির নাম উল্লেখ করে মিরপুরের রূপনগর থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। হাসপাতালটি নিবন্ধন ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিল বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দাফনের ১১ দিন পর আদালতের আদেশে সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাশ জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে তদন্ত কাজ অনেকদূর এগুলো।

শিশু মাইশার বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। সাড়ে চার বছর আগে মাত্র ৯ মাস বয়সে চুলার আগুনে মাইশার ডান হাতের আঙুল পুড়ে কুঁকড়ে যায়। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার রূপনগরের আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাইশার আগুনে পোড়া হাতের আঙুলের অস্ত্রোপচার করার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে সেদিনই মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন বাবা-মা।

তবে দাফনের সময় দেখা যায়, শিশু মাইশার পেট কাটা। পরিবারের দাবি, শিশুটিকে হত্যা করে কিডনি বের করে নিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসকরা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –