• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলার সোনালি মসলিন: পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২১  

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বাংলার মসলিন সোনালি ঐতিহ্যে ফিরেছে। এর ফলে দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলার সোনালি মসলিন। শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব এলাকার ঢাকাই মসলিন হাউস পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

গালাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড মসলিনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে। মসলিন উৎপাদনের প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার করে বর্তমানে মসলিন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মসলিন শাড়ি দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ জাদুঘরে যে শাড়িটি পাওয়া গিয়েছিলো সেটা ছিলো ৫০০ কাউন্ট। এখন ৭০০ কাউন্টের সুতো দিয়ে মসলিন শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এ ঐতিহ্য আরো কীভাবে উন্নত করা যায় সরকার সে প্রচেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ে আমরা বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবো। বিশ্ববাজারে যেতে আমাদের আর বেশি সময় লাগবে না। এ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এরই মধ্যে এ টেকনোলজি রপ্ত করতে পেরেছি। আমরা শাড়ি তৈরি করে সফলতা পেয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে যেতে গেলে একটু সময় লাগবে, তবে সেটা কঠিন নয়। আমাদের কোয়ালিটি ধরে রাখতে হবে। এছাড়া মসলিন জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মসলিনের একটি শাড়ি ৫-১০ লাখ টাকা হলে সেটার বিক্রয় কম হবে। আমাদের মূল হচ্ছে জনগণ। জনগণের কাছে যদি আমরা পৌঁছে দিতে পারি সেটাই হবে আমাদের বড় সফলতা। তাই আমরা প্রথমে শাড়িটাকে নিয়ে কাজ করব এবং রফতানিসহ সবই হবে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭০ বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্রান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। মসলিনের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান প্রমুখ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –