`পদ্মাসেতু কোরবানির অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে`

`পদ্মাসেতু কোরবানির অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে'                     
পদ্মাসেতু কোরবানি কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শুক্রবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পদ্মাসেতুর সম্ভাবনা: দেশীয় পশুতে কোরবানি, খামারিদের সমস্যা ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ ম রেজাউল করিম বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে পদ্মাসেতু। কোরবানির পশু নিয়ে এক সময় ঘাটে দুই-তিনদিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মাসেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পশু পারাপারে ফেরিঘাট কেন্দ্রিক খামারিদের বিড়ম্বনা এখন নেই।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর কারণে পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মাসেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে। কোরবানির অর্থনীতিতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এ বছর নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে, যিনি কোরবানির পশু পরিবহনে পথে কোনো বাজারে পশু নামাতে জোর করা যাবে না। খামারিদের আরেকটি সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, বাড়িতে বা রাস্তায় পশু বিক্রি করলে তাদের কোনো হাসিল দিতে হবে না। কেউ খামারিদের বাজারে এনে পশু বিক্রিতে বাধ্য করতে পারবে না। কোরবানির পশু বাড়িতে বিক্রি করলে কাছের বাজার ইজারাদার চাঁদা আদায়ের কথা বলতে পারবে না।

রাস্তাঘাট বা যেখানে যান চলাচলে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয় সেখানে হাট বসতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত জায়গায় হাট বসবে। প্রতিটি স্বীকৃত হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ভেটেরিনারি মেডিকেল ব্যবস্থাপনা থাকবে, যেন অস্বাস্থ্যকর ও রোগগ্রস্ত পশু বিক্রি না হয়। হাটে বিনামূল্যে পশু পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও এবারের হাটে আর্থিক লেনদেনের জন্য স্মার্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকবে। এভাবে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ভোক্তার জন্য একটি নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।

ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউল আহাদ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমন।