• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কার্ডধারীরা মাসে ১০ কেজি চাল পাবেন ৩০ টাকা দরে 

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

কার্ডধারীরা মাসে ১০ কেজি চাল পাবেন ৩০ টাকা দরে                    
চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে গতকাল দেশব্যাপী চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) শুরু হয়েছে। ওএমএসের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও দেওয়া হচ্ছে ওএমএসের চাল। একই সঙ্গে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হয়েছে। 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন  চন্দ্র মজুমদার গতকাল আজিমপুরে ওএমএস কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম সমন্বয়ে ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, সারা দেশে ওএমএসের কেন্দ্র হবে ২ হাজার ৩৬৩টি। সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি হবে। আটা বিক্রি হবে ৪০৩টি কেন্দ্রে। ঢাকা মহানগর শ্রমঘন ৪টি অঞ্চল ও বিভাগীয় শহরের ৪০৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন দশমিক ৫ টন হারে আটার মোট বরাদ্দ ২০১ দশমিক ৫ টন। ঢাকা মহানগরের ট্রাক সেল ৫০টি কেন্দ্রে, প্রতিটির বরাদ্দ ৩ দশমিক ৫ টন করে। ঢাকা মহানগরে আরও ১৪৭টি দোকানে চাল বিক্রি হবে, সেখানে বরাদ্দ ২ টন করে। ঢাকা মহানগর ছাড়াও ১৯টি ট্রাকের মাধ্যমে শ্রমঘন এলাকা ও বিভাগীয় শহরে প্রতিটিতে ২ টন করে চাল বিক্রি হবে। এদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ, এপ্রিল এই ৫ মাস চলে। সারা দেশে ডিলার সংখ্যা ১০ হাজার ১১০ জন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতি মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার ৩১৫ টন চাল বিতরণ করা হয়। 

সম্প্রতি ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবির কার্ডধারীদের সমন্বয় করে খাদ্যশস্য বিতরণের লক্ষ্যে নিম্নরূপ পদ্ধতি অনুসরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রয় করার জন্য ক্রেতাদের ২টি লাইন করা। একটি লাইনে সাধারণ ক্রেতা এবং অপর লাইনে টিসিবির কার্ডধারীরা দাঁড়াবেন। কার্ডধারীদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দিতে হবে। ডিলারের কাছে সংশ্লিষ্ট দিনের চালের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে পরে আসার অনুরোধ জানাতে হবে। পাক্ষিক ৫ কেজি করে মাসে ২ বার মোট ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –