• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৩  

মেঘহীন আকাশ, সূর্যের তপ্ত চোখ রাঙানি আর তীব্র তাপপ্রবাহে দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপের প্রকোপতায় অস্থির হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের জীবন যাত্রা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। প্রখর রোদে মাঠে কাজ করতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষেরা। 

বেশ কয়েকদিন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র দাবদাহের প্রভাব অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং-এ হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে চারদিকে। সকাল থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা শুরু হয়ে ৪০ থেকে ৪৩ পর্যন্ত তাপমাত্রা দেখছে জেলাবাসী। তাপপ্রবাহের কারণে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। খানিকটা স্বস্তির জন্য বৃষ্টির আশা সবার। উপার্জন নিয়ে কপালে দুশ্চিন্তা চিন্তার ভাঁজ শ্রমজীবী মানুষদের। 

প্রখর রোদ থেকে খানিকটা স্বস্তি পেতে শহরের বড় মাঠে বিশ্রাম নেয়ার সময় রিকশাচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, চারদিন আগে দিনে ৭০০-৮০০ টাকা আয় হতো। আজ দুপুর পর্যন্ত ৩০০ টাকা হয়েছে। লোকজন বাইরে বের হয় না। আর রিকশা নিয়ে বেশিক্ষণ রোদে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। কিভাবে যে সংসার চালাব সেটাই আমার চিন্তা।

ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করা শ্রমিক লতিফুর রহমান বলেন, ‘যে রোদ করেচে কাম করা যায় না। অল্প কাম করেচি ফের অল্প ছিয়াত যাচি। এমন রোদ জীবনও আর দেখুনি। হামার মতো গরিব লোকটার খুব কষ্ট হচে৷ কতদিনে যে কমিবে।’ 

নিরাপদ সড়ক চাই এর জেলা সভাপতি বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আবু মহিউদ্দিন বলেন, কোনো ভাবেই বাইরে অবস্থান করা যাচ্ছে না। রাস্তার পিচের গরমটা শরীরে এসে ঝলসে দিচ্ছে। এমন তাপপ্রবাহ চলমান থাকলে বাইরে বের হওয়া দুস্কর। তারপর আবার শুরু হয়েছে লোডশেডিং। ঘন লোডশেডিংয়ে অস্বস্তিতে জীবন কাটাতে হচ্ছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রার কারণে কৃষক ও শ্রমিকদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বোরো ধান কাটার উপযোগী হলেও কেটে বাসায় নিতে হিমশিম খাচ্ছেন তীব্র দাবদাহের কারণে। তবে সামনে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সব কৃষককে পাকা ধান কেটে নিতে বলা হয়েছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম চয়ন বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা হওয়ায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু রোগীরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এমন তাপপ্রবাহে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে না বের হওয়ায় ভালো।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ শাহ বলেন, পঞ্চগড়- ঠাকুরগাঁও এ দুটি শীতপ্রবণ এলাকা। তবে এবারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উপলব্ধি হচ্ছে। এমন তাপপ্রবাহ আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –