• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

খালি পেটে ঘি খেলে কি হয়?

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮  

ঘি শরীরের জন্য অনেক উপকারি। জানেন কি? ঘি খেলে ওজন কমে। এটা অবাক করার মতো কথা। কিন্তু এটাই সত্য। অনেক সময় ওজন বাড়ার ভয়ে আমরা ঘি খাই না। কিন্তু আপনি ঘি দিয়েও ওজন কমাতে পারেন। খালি পেটে ঘি খেলে কি কি উপকার হয়ে থাকে? সে সম্পর্কে জেনে নিন-

খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা:

১. ঘি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে। নিয়মিত খালি পেটে ঘি খেলে শরীরে এনার্জি বাড়বে। সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরের কোলাজেনের উৎপাদনও অনেক বেড়ে যাবে। এতে ত্বকের সৌন্দর্যও অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই ত্বক সুন্দর করার জন্য ঘি খেতে পারেন। আর এটা খালি পেটেও খেতে পারেন। এছাড়াও আথ্রাইটিস ও দূর করতে পারে ঘি।

২. খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরের বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যা একদিকে জয়েন্টের সচলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তেমনি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যাতে না হয় সে দিকেও লক্ষ্য রাখে। ফলে আথ্রারাইটিস ও হাড়ের যেকোনো ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। এছাড়াও ঘি তে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। যা শরীরের গঠনে নানা ধরণের ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক, যদি জয়েন্টের সমস্যা বা হাড়ের সমস্যা থেকে থাকে। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরণের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এ সমস্যা রোধ করতে হলে ঘি খেতে হবে।

৩. নিয়মিত ঘি খেলে কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দেহের সচলতা অনেক বেড়ে যায় আর সেই সঙ্গে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। শুধু তাই নয়, নতুন কোষের জন্ম যাতে ঠিকভাবে হয়, সে দিকেও লক্ষ্য রাখে ঘি। ফলে যে কোনো ধরণের শারীরিক সমস্যা খুব সহজেই সেরে ওঠে যদি ঘি খান।

৪. এমন কি ব্রেইনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে থাকে ঘি। মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে উপকারি ফ্যাটের প্রয়োজন পড়ে। আর ঘি তে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রয়োজনীয় ফ্যাট। যা কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। ঘি এর মধ্যে থাকা প্রোটিন নিউরনের কাজগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঘি খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে খুব বেশি সময় লাগে না। ঘি রক্তের খারাপ কোলেস্ট্রলের মাত্রাও কমিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে।

৫. খালি পেটে ঘি খেলে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্ট্ররলকে একেবারেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। সেই সঙ্গে ঘি ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। একাধিক গবেষণা থেকে জানা গেছে, ঘি এর ভেতরে রয়েছে মিডিয়াম চেইন সার্টি এসিড। যা শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলকে গলাতে সাহায্য করে।

৬. শুধু তাই নয়, ঘিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। এ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুলোর মধ্যে কে ২ ও সি এল এ নামক দুটো শক্তিশালী উপাদান রয়েছে। তাই যে কোনো রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে ঘি। সেই সঙ্গে শরীরের জন্য ক্ষতিকর উপাদানগুলো বের করে ক্যান্সারের সেল বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করতে পারে ঘি।

৭. যাদের হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ আরো নানা ধরণের রোগ রয়েছে তাদের জন্য ঘি না খাওয়াই ভালো। আর খেলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এছারাও ঘি খেলে যদি পেট ফাঁপা, অম্বল বা এ্যালার্জিজনিত কোনো ধরণের সমস্যা হলে এটা খাওয়া ঠিক নয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –