• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৪  

মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হচ্ছে বিশ্ব। পৃথিবীতে ঘটছে চলতি বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আর এ বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী প্রথম হয়েছে মেক্সিকো।

চাঁদ সূর্যকে ঢেকে দিতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে সে দৃশ্য প্রথম দেখতে মেক্সিকোর মাজাতলান শহরে ভিড় করেছে মানুষ। ইস্টার্ন টাইম জোন অনুযায়ী ২টা ৭ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়, যা ৪ মিনিটেরও বেশি সময় স্থায়ী ছিল।

সোমবার (৮ এপ্রিল) মেক্সিকোতে এই সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ সময় অপেক্ষারত জনগণ উচ্ছ্বাসভরে এটি প্রত্যক্ষ করে।

মেক্সিকোর সমুদ্রসৈকত লাগোয়া শহর মাজাতলানে উত্তর আমেরিকার প্রধান দর্শনীয় স্থান। এখানে জড়ো হয় হাজার হাজার লোক। সৌর-নিরাপদ চশমাসহ ডেক চেয়ারে বা মাটিতে শুয়ে প্রস্তুতি নেয় সবাই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্থানীয় সময় ২টা ৭ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। অঞ্চলটি তখন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। বিরল এ দৃশ্য দেখে জনগণ উল্লাস ও করতালিতে ফেটে পড়ে।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি সম্প্রচার করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ সময় তারা জানায়, সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার কক্ষপথে চাঁদের আগমন হয়। চাঁদের ছায়ায় পৃথিবীর একটা অংশ সম্পূর্ণ ঢেকে তৈরি হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। ফলে পৃথিবীর ওই অংশে নেমে আসে রাতের মতো অন্ধকার। মহাজাগতিক এমন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখার জন্য কোটি কোটি মানুষ উন্মুখ হয়ে ছিল।

মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল থেকে টেক্সাস হয়ে কানাডায় এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি রাজ্যে প্রসারিত হয় অন্ধকার। সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে বিশেষ চশমা পরে টেক্সাসের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ।

এছাড়া স্পেন, যুক্তরাজ্য, পর্তুগালসহ অন্য আরো কয়েকটি দেশের নাগরিকরা আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখতে পান। তবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার সৌভাগ্য হয়নি।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, সোমবারের গ্রহণের বিশেষত্ব হলো এর স্থায়িত্ব। অপেক্ষাকৃত বেশি সময় টানা চার মিনিট চাঁদের ছায়ায় সম্পূর্ণ ঢেকে থাকে সূর্য, যা গত ৫০ বছরে কখনও কোনও গ্রহণেই হয়নি। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময়ে ওই চার মিনিট ধরে সূর্যের বাহ্যিক স্তর করোনার আভা স্পষ্ট দেখা যায়।

নাসার হিসাবমতে, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ যে কোনওখানেই এক মিনিট থেকে সাড়ে চার মিনিট স্থায়ী হতে পারে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যে মেক্সিকো সীমান্তের রাডার বেজ এ সূর্যগ্রহণ স্থায়ী হবে সবচেয়ে বেশি সময়। মোট ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড। আবার কানাডায় কুইবেকের শেরব্রুকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ স্থায়ী হবে ৩ মিনিট ২৬ সেকেন্ড।

চোখ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য বিশেষজ্ঞরা খালি চোখে কিংবা সানগ্লাস পরেও এ সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে মানুষজনকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বরং সূর্যগ্রহণ দেখার বিশেষ চশমা পরে এ দৃশ্য দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –