ডাকসু প্রার্থিতা ঘোষণা নিয়ে দোটানায় ছাত্রদল
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯
দীর্ঘ ২৮ বছরের বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। এক বছর মেয়াদের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাস জুড়ে এখন আলোচনার অন্যতম ইস্যু এবং বহুল প্রত্যাশিত এ নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগসহ অন্যান্যদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য থাকলেও দলীয় প্রার্থী নিয়ে দোটানায় আছে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, ২০১০ সাল থেকে তারা ক্যাম্পাসের বাইরে। ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করাও সম্ভব হয়নি। গঠন হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিও। ফলে ডাকসু ও হল সংসদগুলোয় প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এসব কারণে প্রার্থিতা ঘোষণা নিয়ে দোটানায় ছাত্রদল নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের এক সিনিয়র নেতা জানান, এর আগে অন্তত পাঁচবার ডাকসু নির্বাচন আলোচনায় আসলেও শেষ মুহূর্তে আলোর মুখ দেখেনি। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সক্ষমতা নিয়েও দলের মধ্যে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিতের দাবি এখন ছাত্রদল নেতাদের।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, মধুর ক্যান্টিন ও আবাসিক হলগুলোতে সহাবস্থান নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত বা পরিবেশ কার্যকর হওয়ার পরই ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী জানান, আমরা ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেবো। তবে আমরা সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রার্থিতার বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডাকসু প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৪ সালে। এরপর ১৯৫৩ সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সাতবার ডাকসু নির্বাচন হয়। ১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টির সরকার পতনের পর গেলো ২৮ বছর এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি।
এর মধ্যে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাত বছরে তিনবার তফসিল ঘোষণার পরও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়নি। কখনো ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন চায়নি, কখনো বিরোধী দলে থাকা ছাত্রসংগঠনের তীব্র আপত্তিসহ বিভিন্ন কারণে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালে ডাকসু'র কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। ওই সময় পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী ২০ বছরে পাঁচজন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করলেও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এর মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের জন্য একাধিকবার আন্দোলন হয়েছে। ২০১২ সালে বিক্ষোভ, ধর্মঘট, কালো পতাকা মিছিল এবং ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ তৈরি করে লাগাতার কর্মসূচিও চলে কয়েক মাস। ২০১২ সালের ২১ মার্চ হাইকোর্টে আন্দোলনকারী ২৫ শিক্ষার্থী রিট আবেদন করেন।
২০১৭ সালে আবারো ‘শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ ও পরে ‘ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বামপন্থী সংগঠনগুলো ও আন্দোলনকারীরা মিলে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন। এর মধ্যে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ওয়ালিদ আশরাফ নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকোর্সের এক শিক্ষার্থী একক অনশন শুরুর পর থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে।
এদিকে, ২০১২ সালে শিক্ষার্থীদের রিট আবেদনে সাড়া দিয়ে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের আদেশ দেন।
গঠনতন্ত্রে ১৯৯১ সালে আনা সংশোধনী অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন। যারা এমফিল ও পিএইচডি করছেন, তারা ভোটাধিকার পেলেও প্রার্থী হতে পারবেন না। আর বিভিন্ন বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্স বা অন্য কোনোভাবে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখা শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- খেলতে গিয়ে চোরাবালিতে ডুবে যায় কিশোর, অতঃপর...
- জলঢাকা পৌরসভায় উপ-নির্বাচনে মেয়র হলেন নোভা
- নাশকতা মামলায় কুড়িগ্রামে যুবদলের সভাপতিসহ কারাগারে ৬
- মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান শিরোপা পিএসজির
- প্রথম স্ত্রীর হাতে কেন চড় খেয়েছিলেন আমির?
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- আবারো কমলো সোনার দাম
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার কবে বন্ধ হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- ঈদুল আজহায় পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
- আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- একদিনে হিট স্ট্রোকে ১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড
- দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে মরে যাচ্ছে চা বাগান
- আ.লীগের উপদেষ্টা সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন
- এমএলএসে মেসির নতুন ইতিহাস
- রাতারাতি ভাইরাল পিয়া জান্নাতুল, কী বলছেন তিনি
- টানা ৪ মাসে হাতে লিখলেন কোরআন
- তীব্র দাবদাহে নজর কেড়েছে ‘এসি হেলমেট’
- থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
- তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হবে না: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে: ধর্মমন্ত্রী
- ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান
- একটা জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি আহসান হাবিব
- তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার
- তীব্র দাবদাহে বেড়েছে লবণ উৎপাদন
- শহিদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে