ঘুরে আসুন উত্তরের রূপবতী জনপদ তেঁতুলিয়া
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় যখন কাঁপছে তেঁতুলিয়া, ঠিক তখনই হিমালয়ের কোলঘেঁষা জনপদটি হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের। কারণ, এ সময়টাতেই পূর্ণ রূপবতী হয়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে উত্তরের জনপদটি। সীমান্তবর্তী অবস্থান, মহানন্দা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন, সমতল ভূমির চা বাগান এবং পাথর শিল্প তেঁতুলিয়ার মূল পর্যটন আকর্ষণ।
পঞ্চগড় থেকে বাসে করে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশে চোখে পড়বে একটি ফটক। ফটকে লেখা মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ অঞ্চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রবেশ করেনি বলেই একে মুক্তাঞ্চল বলা হয়।
রাস্তার পাশে একটি মুক্তিযুদ্ধের ফটকতেঁতুলিয়ার মূল সৌন্দর্য ধরা দিবে এ ফটকটি পেরুলেই। হঠাৎ করে শরীরে যেন অন্যরকম অনুভূতি হবে। কারণ এখান থেকেই বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড সরু হয়ে ভারতের দিকে ঢুকে গেছে। বলতে গেলে ভারতের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি জেলার ভেতরেই যেন তেঁতুলিয়া। তেঁতুলিয়ার চারপাশে রয়েছে ভারতের বিধান নগর, চাত্তের হাট, ঘোসপুর, রাহমু, ফুলবাড়ি ও আমবাড়িয়া। আরও চল্লিশ মাইল গেলেই নেপাল।
তেঁতুলিয়া যদি মোটরসাইকেলে যাওয়া যায় তাহলে ভ্রমণের আনন্দটা হবে অন্যরকম। মুক্তিযুদ্ধের ফটক পেরিয়ে আরও মাইল দশেক এগোলে পড়বে ভোজনপুর। চোখে পড়বে দিগন্তজোড়া সমতলের চা বাগান। রাস্তার পাশে দাঁড়ালেই দেখা যাবে ভারতের চা বাগান ও সীমান্তের ওপারের শহর।
তেতুলিয়ায় সমতলের চা বাগানতেঁতুলিয়া উপজেলা সদরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে শতবর্ষী তেঁতুলগাছ। স্থানীয়রা জানায় এ তেঁতুলগাছের নামানুসারেই সম্ভবত এ জনপদের নাম। উপজেলা সদরে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ডাক বাংলো। এর নির্মাণশৈলী ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের। জানা যায়, কুচবিহারের রাজার তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয়। সদরে আরও রয়েছে উপজেলা পরিষদের নির্মিত একটি পিকনিক কর্নার।
এ স্থানগুলো থেকে হেমন্ত ও শীতকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বর্ষাকালে মহানন্দা নদীতে পানি থাকলে এ দৃশ্য আরও মনোরম হয়।
শীতকালে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। বিকেলে মহানন্দা নদীর পাড়ে বসে সূর্যাস্ত, খুবই ভালো লাগার মতো একটি দৃশ্য। মহানন্দার পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেখা যাবে ভারতের শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি থেকে আনা পাথর। দেখা যাবে ওপারে শিলিগুড়ি ব্রিজ।
মহানন্দা নদী থেকে পাথর তুলে আনছেন এক শ্রমিকমহানন্দার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতেই চলে যাওয়া যায় বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে। বাংলাদেশ মানচিত্রের সবচেয়ে উত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট। এ স্থানে মহানন্দা নদীর তীর ও ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ১০ একর জমিতে ১৯৯৭ সালে স্থাপিত হয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য বিনিময় হয় এ স্থলবন্দরের মাধ্যমে। ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও এর মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দর যার মাধ্যমে তিনটি দেশের সঙ্গে সুদৃঢ় যোগাযোগ গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টজিরো পয়েন্ট দেখে ফেরার পথে ঘুরে আসা যাবে উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ের রওশনপুর। এ এলাকায় সুনিবিড় পরিবেশে গড়ে উঠেছে মনোরম অবকাশ যাপন স্পট। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শতশত পর্যটক ভিড় জমায় এখানে।
সতর্কতা:
হিমালয়ের কোলঘেঁষা এ অঞ্চলে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে থাকে প্রচণ্ড শীত। সুতরাং, শীতের মৌসুমে বেশি করে শীতের কাপড় নিয়ে আসতে হবে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা:
তেঁতুলিয়া সদরে জেলা পরিষদের বাংলো রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা সদরে রয়েছে দু’টি আবাসিক হোটেল। ইচ্ছে করলে জেলা শহরেও থাকা যেতে পারে। বাসে যেতে সময় লাগবে ঘণ্টা খানেক। খাওয়ার জন্য উপজেলা সদরে ‘বাংলা হোটেল’ নামের একটি মানসম্মত হোটেল রয়েছে।
যাওয়ার পথ:
ঢাকা থেকে তেঁতুলিয়া যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে পঞ্চগড়। হানিফ, শ্যামলী, নাবিল ও বাবলু পরিবহন এ রুটে চলে। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ছয়’শ টাকা। এরপর জেলা শহর থেকে বাসে যেতে হবে তেঁতুলিয়া। ভাড়া ৩০ টাকা। এরপর পছন্দসই যানবাহন ভাড়া করে ঘুরে দেখতে পারেন পুরো উপজেলা।
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি: ওবায়দুল কাদের
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
- হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চাকরিতে প্রবেশে বয়সের বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- ‘অভিবাসন নিয়ে অপতথ্য রোধে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি’
- ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব
- অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকে ১৫ মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে’
- হাফিজুল এখন পরিবারের বোঝা
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- পরচুলা তৈরি করে লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছে তারা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস