পঞ্চগড়ে বছরে ৩০ কোটি টাকার সুপারি কেনাবেচা
প্রকাশিত: ২ মে ২০২৩

কয়েক বছর ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ব্যাপকহারে সুপারির আবাদ হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভাগীয় শহরসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে এ জেলার সুপারি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৩০ কোটি টাকার সুপারি বেচাকেনা হচ্ছে। এতে করে দিনদিন সুপারি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।
জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, কেউ পতিত জমিতে, কেউ বাড়ির আঙিনায় আবার কেউ জমির সীমানা নির্ধারণ ঠিক রাখতে সারি সারি করে সুপারি গাছ লাগিয়েছেন। কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে চা শিল্পের পাশাপাশি মিশ্র চাষ হিসেবে চা বাগানে সুপারি গাছ লাগিয়েছেন চাষিরা। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এসব গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন তারা। ব্যবসায়ীদের অনেকে গ্রামে গ্রামে চাষিদের কাছ থেকে সুপারি কিনছেন। এ জেলার সুপারির জাত, স্বাদ, রং ও আকারের কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি, তাই প্রত্যাশা মতো দামও পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলার তেঁতুলিয়া সদর বাজার, রনচন্ডী বাজার, শালবাহান হাট ও ভজনপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রচুর পরিমাণে সুপারি বেচাকেনা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সুপারি প্রতি পণে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর প্রতি পণ সুপারি বিক্রি হবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় উঠছে সুপারি চাষ। এক খরচে ৩০ বছরের আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে এ সুপারি চাষ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পঞ্চগড়ের সুপারি অন্য এলাকার চেয়ে আকার ও স্বাদে তুলনামূলক ভালো। এ কারণে দেশজুড়ে এখানকার সুপারির চাহিদা ব্যাপক। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যায় এই সুপারি। চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এখানকার হাটবাজার থেকে সুপারি কিনে নিয়ে যান। সুপারি ঘিরে আয় বেড়েছে বেকার তরুণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও। তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে চাষিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করছেন সুপারি। পরে তা বাজারে এনে বিক্রি করছেন বেশি দামে। গৃহিনীরা সুপারি বেচাকেনায় অংশ নিতে পারছেন, এতে তারাও উপকৃত হচ্ছেন।
কালান্দিগঞ্জ এলাকার সোলেমান আলী বলেন, আমার বাড়িতে ৩০০ সুপারি গাছ রয়েছে। বছরে এসব গাছের সুপারি দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে থাকি। আমার ভাইয়ের একটা সুপারি বাগান রয়েছে, সে আমার চেয়ে বেশি টাকা পেয়ে থাকে। একবার সুপারি গাছ রোপন করলে বিশ থেকে পঁচিশ বছর পর্যন্ত সুপারি বিক্রি করে চলা যায়। খরচ তেমন নেই বললেই চলে। সামান্য পরিচর্যা করলে এ থেকে বেশ টাকা আয় করা সম্ভব।
স্থানীয় ফিরোজা আক্তার বলেন, আমাদের বাড়িতে ২০-২৫টি সুপারি গাছ আছে। তাতে করে প্রতি বছর বেশ ভালো টাকা পাই। এসব সুপারি বিক্রি করে ছেলেমেয়েদের কাপড় কিনে দিতে পারি, পড়ালেখার খরচও দিতে পারি। আরও চারা করেছি, সামনের বর্ষায় লাগাবো।
সুপারি ব্যবসায়ী আসমত ও রবিউল ইসলাম জানান, এ এলাকার সুপারির চাহিদা সারা দেশেই রয়েছে। যশোর, ঢাকা, কুমিল্লা, সৈয়দপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ হয়ে থাকে এ সুপারি। সুপারির বিভিন্ন সাইজ হিসেবে বিভিন্ন দাম হয়ে থাকে। বর্তমানে বড় আকারের সুপারি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা এবং মাঝারি আকারের সুপারি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে অন্য ফসলের মতো সুপারি গাছের তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না বা কিংবা কীটনাশক ও সেচের ব্যবহার হয় না। এ কারণে সুপারি চাষে লাভ বেশি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যেষ্ঠ এই তিন মাস সুপারির মৌসুম। এ সময়ে একদিকে গাছে সুপারি পাকতে শুরু করে। অপর দিকে সুপারি গাছে নতুন করে ফুল ও ফল আসা শুরু হয়। এক একটি গাছে সুপারির ফলন আসে ৪ থেকে ৫ পণ অর্থাৎ ৮০ থেকে ১০০ হালি। এপ্রিল থেকে শুরু হয় সুপারি আহরণ। জুন মাস পর্যন্ত চলে সুপারি বেচাকেনা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, পঞ্চগড়ে ৬৫০ হেক্টর জমিতে সুপারি আবাদ হচ্ছে। এসব আবাদ থেকে বছরে এ জেলায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা সুপারি বেচাকেনা হচ্ছে। সুপারি আবাদে এ জেলার অর্থনীতিতে নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে। সুপারি চাষে বাড়তি ঝামেলা ও খরচ নেই। একবার চাষ করতে পারলে কয়েক বছর এক আবাদেই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় হতে সুপারি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে
- নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশু নিহত
- এবারের বাজেট ৭ লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী
- ‘জামায়াতকে কর্মসূচি পালনে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে’
- পুঁজিবাজারে স্থায়ী হচ্ছে কর অবকাশ সুবিধা
- অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্পে
- গাজীপুর আ. লীগ পুনর্গঠন হবে
- মুখ্য নির্বাহী থাকতে পারবেন না ইউএনওরা
- জুনেই শুরু হচ্ছে পুরান রেল সেতু উন্নীতকরণ কাজ
- জুলাইয়ে পরীক্ষামূলক শুরু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন
- আনসার ও ভিডিপিদের পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
- বিশ্বশান্তি রক্ষায় সেবা ও ত্যাগে শীর্ষে বাংলাদেশ
- পতেঙ্গা-আনোয়ারা সংযুক্তি তিন মাস পরেই
- রাণীশংকৈলে পুকুর খননে মিলল দুধের মতো পানি, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য
- প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ
- ব্রণের কারণ মেকআপ কিনা যেভাবে বুঝবেন
- বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে বুধবার
- তিনবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এরদোয়ানকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
- সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৩ হাজার ৭৩৫ হজযাত্রী
- গরমে শরীর চাঙ্গা-ফুরফুরে রাখে যেসব খাবার
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কবে থেকে বিক্রি জানালেন রেলমন্ত্রী
- `প্রবাসী কর্মীদের আন্তরিকতার সঙ্গে সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে`
- বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানাতে চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
- চক্ষু শীতলকারী উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের দোয়া
- পীরগঞ্জে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা
- পলাশবাড়ীতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, প্রাণ গেল চালকের
- নিজের অবসরের বিষয়ে যা জানালেন ধোনি
- আমার জায়েদ খান হলে, বালিশের নিচে রাখব: শবনম ফারিয়া
- এরদোগানের জয়ে চাঙা তুরস্কের শেয়ারবাজার
- ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক
- স্বাস্থ্যখাতে ৩ বছরে ৭০ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে
- ‘উন্নয়নে কোরিয়ার সাফল্য বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করেছে’
- দেশকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছেন শেখ হাসিনা: আইনমন্ত্রী
- মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হবে না: ওবায়দুল কাদের
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ ছাত্রলীগের
- করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৭
- `নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে`
- পঞ্চগড়ে বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠায় বিজিবির আপত্তি নেই: মহাপরিচালক
- দাপট দেখাবে কালবৈশাখী, বৃষ্টিতে ভিজবে সব বিভাগ
- দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন
- চলতি হজ মৌসুমের নতুন লোগো প্রকাশ
- দেশে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে
- কূটনীতিকদের আনসার কীভাবে নিরাপত্তা দেবে, তা চূড়ান্ত
- গাজীপুরে শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট হচ্ছে: ইসি আলমগীর
- ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উন্নয়নই একটি দেশের মূল উন্নয়ন’
- এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
- মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে অভিযান
- ‘নিজেকে জনগণের সেবক মনে না করলে চাকরি করার দরকার নেই’
- বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া, হুমকি দিয়ে শ্বশুরবাড়ি ভাংচুর করল ঘরজামাই
- তিন ক্যাটাগরির প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ‘সরকারি স্কুল’ লেখার অনুমতি