• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অবশেষে শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হলো ভারতীয় সেই তরুণীর 

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩  

স্বামীকে না পেয়ে শূন্যহাতে ভারতে ফিরে গিয়েছিলেন ভারতীয় নারী রিয়া বালা (৩২)। চারদিনের মাথায় আবার বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেন। তবে এবার বাংলাদেশে তার জন্য শ্বশুরসহ স্বামীর পরিবারের লোকজন ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অপেক্ষায় ছিলেন।

এদিকে ভারতীয় ওই নারীর আবারও দেশে আসার খবরে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি ও তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরাও ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হন। পরে শ্বশুর শ্রী নিখিল চন্দ্র রায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে ভারতীয় ওই নারীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তোলার লিখিত অঙ্গীকার দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।

গত ২৯ ডিসেম্বর স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে আসেন ভারতীয় নারী রিয়া বালা। কিন্তু তার আসার খবর পেয়ে গা ঢাকা দেন স্বামী বিটু রায়। এক পর্যায়ে তার নিরাপত্তার কথা উপজেলা প্রশাসনকে জানালে গত ২ ডিসেম্বর তাকে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নারী-শিশু সেলে রাখা হয়। পরদিন ৩ ডিসেম্বর রিয়া বালা ভারতে ফেরত যেতে সম্মত হলে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ভারতের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার শ্যামল কান্তির মেয়ে রিয়া বালার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচয় বাংলাদেশি যুবক পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী এলাকার অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়ের। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে বিটু রায় ভারতের জলপাইগুড়িতে গিয়ে প্রেমিকা রিয়া বালার সঙ্গে দেখা করেন এবং গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানার শিকারপুর এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে রিয়া বালাকে বিয়েও করেন।

বিয়ের পর প্রায় একমাস ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বিটু। এরপর দেশে ফিরে রিয়া বালার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে আসেন রিয়া বালা।

নববধূ রিয়া বালা বলেন, বিটু রায়কে বিয়ের পর একমাস ভাড়া বাড়িতে ছিলাম। কিন্ত কৌশলে দেশে গিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বিটু। আমি স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে গিয়ে তার বাড়িতে থাকতে না পেরে ভারতে ফিরে যাই। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সম্মতিতে আবার এসেছি। তবে এবার আমাকে নিতে শ্বশুরসহ তার পরিবারের লোকজন এসেছেন।

শ্বশুর শ্রী নিখিল চন্দ্র বলেন, ছেলে বাড়িতে ছিল না। তার সঙ্গে যোগাযোগও হচ্ছিল না। এজন্য তাকে বাড়িতে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে এখন ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে খুলনা থেকে আসছে। আর আমরা নববধূকে নিয়ে বাড়ি আসছি।

তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বুধবার বিকেলে ভারতীয় ওই নারী বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অঙ্গীকারপূর্বক শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বরণ করে বাড়িতে নিয়ে যান।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –