• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রেতা সেজে যেভাবে ৭ কোটি টাকার মূর্তি উদ্ধার করল পুলিশ

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৪  

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৭ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জের বানুরহাট এলাকা থেকে মূল্যবান ওই বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মূর্তি বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার বন্দিরাম এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০), তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) ও একই উপজেলার একরামুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৫)।

পুলিশ জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তি বিক্রি চক্রের সদস্যদের ধরতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এর ধারাবাহিকতায় পুলিশ ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে বিক্রেতাদের সঙ্গে। কথামতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বানুরহাট এলাকার ওষুধ বিক্রেতা শাহীন শাহের ফার্মেসিতে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি ব্যাগে করে দেখাতে নিয়ে আসেন তেঁতুলিয়ার হাবিবুর ও শহিদুল। তাদের দাবি, মূর্তিটি তারা পাথরের সাইটে পেয়েছে। পুলিশের সঙ্গে দরদাম ঠিক হয় ৫ লাখ টাকায়।

এদিকে, আগেই ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। ব্যাগে করে মূর্তিটি আনা মাত্রই কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তিসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। উচ্চতায় ২৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ইঞ্চি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।

পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ওষুধ বিক্রেতা শাহীন দীর্ঘদিন ধরে এই মূর্তি বিক্রি চক্রের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কয়েক মাস ধরে তার উপর নজরদারি করি। একপর্যায়ে ক্রেতা সেজে বৃহস্পতিবার তাদের হাতেনাতে আটক করি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –