`জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৪
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে নির্মিত পঞ্চগড়ের জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরটি ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন কুচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন।
দেবীগঞ্জ পৌরসদরের চৌরাস্তা থেকে করতোয়া সেতু যাওয়ার পথে এশিয়ান মহাসড়ক সংলগ্ন মধ্য পাড়ায় ১ একর ৪ শতাংশ জমির উপর জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ স্থাপত্যের সাথে মিল রেখে ইট, সুরকি, চুন, পাথর ও লোহার সমন্বয়ে জমিদার বাড়ির আদলে জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি নির্মাণ করা হয়।
মন্দিরের মূল ভবনে প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি গোলাকৃতির প্রবেশদ্বার যার উভয় পাশে রয়েছে উঁচু দুটি পিলার এবং বাম দিকে পুরোহিত প্রবেশের জন্য আরো একটি ছোট প্রবেশদ্বার রয়েছে। মন্দিরের ভিতরে আলো-বাতাস চলাচলের জন্য গোলাকার আকৃতির ৮টি জানালা রয়েছে এবং মন্দিরের ভিতরে ৩টি কক্ষ রয়েছে। ডান পাশের কক্ষে দেবী কালীর প্রতিমা, মাঝের কক্ষে দেবী দূর্গার এবং বাম পাশের কক্ষে কৃষ্ণ ঠাকুরের প্রতিমা রয়েছে। মন্দিরের পিছনের অংশে পূজা অর্চনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত পুরোহিতের থাকার জায়গা ও মন্দির কমিটির কার্যালয়, মন্দিরের ডানে দূর্গা পূজার স্থায়ী মন্ডব, সামনে বিস্তৃর্ণ ফাঁকা মাঠ এবং চতুর্দিক ইটের সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ঐতিহাসিক জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দির।
বিভিন্ন পুস্তক ও লোকমুখে প্রচলিত, বিংশ শতাব্দীতে কোচবিহার মহারাজার ম্যানেজার হাতির পিঠে ভজনপুর তহশীলে যাওয়ার সময় শালডাঙ্গার জঙ্গলে একটি পিতলের ভাঙ্গা মূর্তি দেখতে পান। মূর্তিটি ছিল দুর্গা দেবীর। বাহক হাতিটি সেখান থেকে আর যেতে না চাইলে ম্যানেজার মূর্তিটি নিয়ে দেবীগঞ্জে ফিরে আসেন এবং মহারাজার নিকট খবর পাঠান। মহারাজা ভাঙা মূর্তিটি কাশি থেকে অষ্টধাতু দ্বারা মেরামত করে এনে ১৯১৪ সালে জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ির নির্মাণ করে সেখানে মূর্তিটি স্থাপন করেন। ধারনা করা হয় শালডাঙ্গায় প্রাপ্ত এই মূর্তিটি দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের আন্দোলনের সময় তাদের উপাসনার জন্য গভীর জঙ্গলের স্থাপিত হয়েছিল।
প্রতিবছর বৃহৎ পরিসরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয় জগবন্ধু ঠাকুরবাড়িতে। দুর্গাপূজার সময় মন্দির প্রাঙ্গনে বসে সপ্তাহব্যাপী মেলা। এছাড়া সরস্বতী পূজা, লক্ষ্মী পূজা, কালী পূজা সহ সনাতন ধর্মের অন্যনা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান এখানে পালন করা হয়।
জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত জীবন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এই মন্দিরটি অনেক পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১১০ বছর ধরে নিয়মিত পূজা, অর্চনা চলছে। এছাড়া প্রতিদিন গীতা পাঠ এবং প্রতি শুক্রবার ও শনিবার ধর্মীয় আলোচনা হয়ে থাকে। শত বছরের পুরানো ঐতিহাসিক জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দির দেখতে দূরদূরান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ছুটে আসেন দেবীগঞ্জে।
কুমার অংকন সাহা নামে স্থানীয় এক যুবক জানায়, শত বছরের পুরনো জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরটি ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারন করে আছে। প্রতি বছর পঞ্চগড় জেলার সব থেকে বড় দূর্গা পূজার আয়োজন হয় এখানে। দূর্গা পূজা বাদেও সারা বছর দূরদূরান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং দর্শানার্থীরা এই মন্দির দেখতে আসেন। ১১০ বছর আগে নির্মিত জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে সম্প্রতি বেশ কিছু স্থানে ফাটল ধরেছে। মন্দিরটি টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সংস্কার।
এ বিষয়ে জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরের দূর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শুভ্রাংশু শেখর রায় (শুভ) বলেন, ১৯১৪ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পঞ্চগড় জেলার অন্যতম প্রচানী এবং বৃহৎ মন্দির। মন্দিরের বেশ কিছু স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, যা সংস্কার করা প্রয়োজন। আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরটি সংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এতে করে আগামী প্রজন্ম এই মন্দিরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ব্রিটিশ শাসন এবং পাকিস্তানি শাসন আমল পার করে স্বাধীন বাংলাদেশে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের ভুপ বাহাদুরের স্মৃতি জাগরুক করে ১১০ বছর ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- বোদায় উম্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত
- তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অবসরের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রি
- সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম: মিষ্টি জান্নাত
- কোরআন-হাদিসে মায়ের অধিকার
- আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ হবে ২৫ শতাংশ
- কৃষি নিয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী
- ‘সরকার-নাগরিক পার্টনারশিপ হলে নগরের সমস্যা দূর হবে’
- আস্থা পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যেই এই সফর: ডোনাল্ড লু
- জুলাইয়ে শুরু হচ্ছে বিডিএসের ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি: ভূমিমন্ত্রী
- ১৫৭ উপজেলায় তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ
- ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
- সৌদি পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ হজযাত্রী
- বাংলাদেশ-ভারত আর্মি টু আর্মি সংলাপ শুরু
- বাংলাদেশে কখন কোথায় আঘাত হানবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘রোমাল’
- ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচারকদের সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর আহ্বান
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- গ্রিডের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ৩ সঞ্চালন লাইন চালু
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- সৌন্দর্য ধরে রাখতে নজর দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসে
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি`র ফল হস্তান্তর
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ জন হজযাত্রী
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত