• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

`নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে`  

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

`নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে'                        
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি ঢালাওভাবে মিথ্যাচার করে চলেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সামনের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতচক্র নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। আমরা চাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। কিন্তু কাউকে জোর করে নির্বাচনে টেনে আনা সম্ভব নয়। কে আসবে না আসবে বড় কথা নয়, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন হবে সাংবিধানিক উপায়ে, সেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজারের আনিকা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আ জ ম নাছির বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে তাতে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। বাংলাদেশেও মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তবে এ সংকট সাময়িক। মানুষের এ কষ্ট লাঘবে তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। এভাবেই দলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ানো সম্ভব।

আ জ ম নাছির বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতিসত্তা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ভাষা ও স্বাধীন রাষ্ট্র চিন্তার বিকাশের ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। তাই বাঙালি, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। এ সত্যটি যারা অস্বীকার করে তারা পরগাছা। বাংলার মাটিতে এ পরগাছারাই সব অপকর্ম, হত্যা, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার মূল হোতা। এদের উৎখাত করা না হলে সময় থাকতে সাধন হবে না।

তিনি দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনের উদ্দেশ্যে বলেন, এসব সংগঠন ও কথিত সুশীল সমাজ কথায় কথায় বাংলাদেশে মানবাধিকার গেলো বলে মায়াকান্না করে। তারা কী জানে না ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তাণ্ডব ও বর্বরতার কথা। সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কী অবস্থা করেছিল তারা। ঘরবাড়ি জ্বালানো, হত্যা, ধর্ষণ, সন্ত্রাসের জাহান্নামে মানবাধিকার ও মানবতা বলতে কিছুই ছিল না। বরিশাল ও ভোলা থেকে ২৫ হাজার মানুষ টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ঢাকায় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ভিটে-মাটি হারা মানুষের জন্য লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিল। তখন এসব সংগঠন ও কথিত সুশীল সমাজ কোথায় ছিলেন।

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আবার যেন ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তাকে বিজয়ী করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা এবং সবার দায়িত্ব।

চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল হক রঞ্জুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বাচ্চু, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, জোবাইরা নার্গিস খান, শহীদুল আলম, জাফর আলম চৌধুরী, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দীন আহমেদ।

অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সেলিম রহমান, ইমরান বিপ্লব, রফিকুল ইসলাম, নাফিজ ইমতিয়াজ সানজু, নিজাম উদ্দীন, এরশাদ রনি।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সুনীল কুমার সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আবদুল লতিফ টিপু, হাজী বেলাল আহমদ, মোর্শেদা আক্তার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আনছারুল হক, রেজাউল করিম কায়সার প্রমুখ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –