বঙ্গবন্ধুর ১৬টি ঈদ কেটেছে কারাগারে
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২
বঙ্গবন্ধুর ১৬টি ঈদ কেটেছে কারাগারে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের ১৬ টি ঈদ কাটিয়েছেন কারাগার ও ক্যান্টনমেন্টের বন্দী জীবনে। ‘কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের কথা লিখেছেন এভাবে: ১১ তারিখে রেণু এসেছে ছেলেমেয়ে নিয়ে দেখা করতে। আগামী ১৩ ই জানুয়ারি ঈদের নামাজ। ছেলেমেয়েরা ঈদের কাপড় কিনবে না। ঈদ করবে না, কারণ আমি জেলে। ওদের বললাম, তোমরা ঈদ উদযাপন কর।’ [পৃষ্ঠা ২০১]
মুক্তি সনদ ৬ দফা প্রদানের পর ১৯৬৬ সালের ৮ মে গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। আমরা জানি, পাকিস্তানের অস্তিত্বের দুই যুগের প্রায় অর্ধেকটা সময় তাঁর কেটেছে কারাগারে। এর মধ্যে শেষের বছর অর্থাৎ ১৯৭১ সালের মার্চের পর তাঁকে বন্দি রাখা হয় ‘শত্রু রাষ্ট্র’ পাকিস্তানে। বন্দি হওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৯৬৭ সালের মার্চ মাসের শেষ দিকে পড়েছিল কোরবানীর ঈদ বা ঈদুল আজহা। তখনও তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের হয় ১৯৬৮ সালের প্রথম দিকে। এ বছর তিনটি ঈদ পড়েছিল দুটি ঈদুল ফিতর এবং একটি কোরবানীর ঈদ। ১৮ জানুয়ারি মধ্য রাতে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আর্মির হেফাজতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বছর জানুয়ারির শুরুতে পড়েছিল ঈদুল ফিতর। বছরের শেষ দিকে ফের ঈদুল ফিতর। মার্চ মাসে পড়েছিল কোরবানীর ঈদ। এ ঈদের সময় তিনি কোথায় আটক রয়েছেন, সেটা পরিবারের সদস্যদের জানা ছিল না।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ গ্রন্থে লিখেছেন, এপ্রিল মাসের (১৯৬৮) গোড়ার দিকে একদিন শ্বাশুড়ী আমাকে জানান, শেখ সাহেবসহ আরও ৩৪ জন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় জড়িয়ে ঢাকা ক্যন্টনমেন্টে অন্তরীণ রাখা হয়েছে। মাস খানেক পর ক্যান্টনমেন্টে তাঁর বিচার শুরু হয়। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর সে দিন বিকেলে শ্বাশুড়ী ছেলেমেয়েদের নিয়ে শেখ সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পান। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়েয়ের পর এটাই ছিল শেখ সাহেবের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের প্রথম সাক্ষাৎ। [পৃষ্ঠা ৩৩]
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু প্রথম গ্রেফতার হন ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ডাকা হরতাল সফল করার জন্য পিকেটিং করতে গিয়ে তিনি গ্রেফতার হন।
এর পরের বছর ১৯৪৯ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি গ্রেফতার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর আন্দোলন সমর্থন করার কারণে। তিনি মুক্তিলাভ করেন ২৬ জুন। এর তিন দিন আগে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি কারাগারে থাকা সময়ে তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
১৯৫০ সালের প্রথম দিন থেকে তিনি ফের কেন্দ্রীয় কারাগারে। এ বছর জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছিল ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। পরের বছরও (১৯৫১) ঈদ ছিল জুলাই ও সেপ্টেম্বর। তাঁর এ চারটি ঈদ কাটে কারাগারে। ১৯৫২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি মুক্তিলাভ করেন। এ বছরের ২৬ এপ্রিল তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জুন মাসে তিনি যান পশ্চিম পাকিস্তান। সেখানে তিনি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা করার দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। লাহোরে অবস্থানকালে ১৩ জুন তিনি তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘২৪ জুন ঈদ, আর আমাকে সেই দিনই ঢাকা রওনা হতে হবে। ভেবেছিলাম বাড়িতে ঈদ করব। তাহা আর হল না। যা হউক, গরীবের আবার ঈদের কাজ কী? [গোয়েন্দা প্রতিবেদন, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৩৬]
বঙ্গবন্ধু পরের বার গ্রেফতার হন ১৯৫৪ সালের মে মাসের শেষ দিকে। তিনি তখন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গ্রেফতারের পরপরই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল ঈদুল ফিতর, আগস্টে কোরবানীর ঈদ। দুটি ঈদই তাঁর কেটেছে কারাগারে। তিনি মুক্তিলাভ করেন ডিসেম্বরে।
১৯৫৮ সালের অক্টোবরে তিনি ফের গ্রেফতার হন। তখন পাকিস্তানে চলছে আইয়ুব খানের নিষ্ঠুর সামরিক শাসন। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। ১৯৫৯ সালের এপ্রিল ও জুন মাসে পড়েছিল ঈদুল ফিতর ও কোরবানীর ঈদ। এই দুই ঈদেই তিনি কারাগারে। এ বছরের শেষ দিকে তিনি মুক্তি লাভ করেন। তবে তাঁকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়। বাসা থেকে যে কোনো স্থানে যেতে হলে জানাতে হতো গোয়েন্দা বিভাগ ও প্রশাসনকে।
১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রবল ছাত্র আন্দোলনের মুখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মুক্ত হন ১৮ জুন। এ বছর মার্চ ও মে মাসে পড়েছিল ঈদুল ফিতর ও কোরবানীর ঈদ। বঙ্গবন্ধু ছিলেন কারাগারে। ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধু কয়েকবার জেলে গেছেন। তবে এ সময়ের জেল ছিল স্বল্প স্থায়ী। এ দুই বছর ঈদ ছিল যথাক্রমে জানুয়ারি ও মার্চ মাসে।
১৯৬৬ সালের ৮ মে মধ্য রাতে গ্রেফতারের পর তাকে একটানা প্রায় তিন বছর কারাগারে ও ক্যান্টনমেন্টে কাটাতে হয়। এই বন্দিজীবনে তাঁকে পরিবারের সান্নিধ্য ছাড়া কাটাতে হয় পাঁচটি ঈদ। ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে তিনি মুক্ত হন। মুক্তির সপ্তাহ যেতে না যেতেই পড়েছিল কোরবানীর ঈদ। এ উৎসব তিনি পালন করেন টুঙ্গিপাড়ায়, পরিবার ও স্বজনদের সান্নিধ্যে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে তিনি শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তানে বন্দি। ২০ নভেম্বর পড়েছিল ঈদুল ফিতর। রণাঙ্গনে লড়ছিল মুক্তিযোদ্ধারা। বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালও রণাঙ্গনে। আর তাঁদের মা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ছোট ভাই রাসেল বন্দী ধানমন্ডির একটি বাড়িতে। এ বছরের ২৭ জুলাই জন্ম হয় শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের। মা, নানী খালা ও মামার সঙ্গে তিনিও বন্দি। জন্মের দিন থেকেই তিনি বন্দিজীবন! মুক্ত হন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের পর। বঙ্গবন্ধু মুক্ত স্বদেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। এর সপ্তাহ দুয়েক যেতে না যেতেই পড়েছিল কোরবানীর ঈদ।
লেখক : অজয় দাশগুপ্ত
১৯৭৫ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধু গঠিত জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা।
- ‘কবিরাজি চিকিৎসায়’ পায়ের রগ ছিঁড়ে প্রাণ গেল কিশোরের
- মেলেনি বাবার মরদেহ, করতোয়ার পাড়ে দিন কাটছে ছেলের
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ
- উৎসবের মণ্ডপে শোকের ব্যানার
- সবাই নিজ ধর্মের উৎসব শান্তিতে পালন করতে পারছে- ইকবালুর রহিম
- রাজারহাট উপজেলা সামাজিক সম্প্রতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- সাফ জয়ী নারী ২ ফুটবলারকে বরণ করলো উপজেলা প্রশাসন
- করতোয়ার তীরে সম্প্রীতির অনন্য নজির
- পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি, ষষ্ঠ দিনে মিলল দুটি বাই সাইকেল
- বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজিরা
- বাংলাদেশে ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে তুরস্ক
- জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে ৮ ধাপ এগোল বাংলাদেশ
- দেড় কোটি প্রবীণ পাবেন বিশেষায়িত আইডি কার্ড
- এক বছরে সরকারি খরচে আইনি সেবা নিয়েছেন সোয়া লাখ মানুষ
- অফিস সময় এক ঘণ্টা বাড়ছে
- মৌলবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাই ভরসা
- কুশিয়ারার পানিবণ্টনে ভারতের মন্ত্রিসভার সায়
- আগস্টে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে
- দৃষ্টান্ত গড়ল এসকেএফের ইনজেকশন তৈরির কারখানা
- ভাসানচরে রোহিঙ্গারা জীবন ধারণে সহায়ক বিভিন্ন সামগ্রী পেলেন
- সমৃদ্ধির কৃষি ও আগামীর বাংলাদেশ
- ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনছে সরকার
- টকশোতে সত্য-মিথ্যা যে যেভাবে পারছে বলছে
- নভেম্বরের শেষ দিকে জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার জন্মদিনে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
- `নির্বাচনে এবার স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে জনগণ`
- জেলখানায় বসে উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী
- ৯ দিন বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থল বন্দর
- ছোট্ট দীপু ফিরলেও মা ফিরেছে লাশ হয়ে, বাবা এখনো নিখোঁজ
- শিশুরাই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
- শুনেই ২৮ পারা কোরআন মুখস্থ করল দৃষ্টিহীন হৃদয়
- ‘চিন্তার কিছু নেই, মুস্তাফিজের সেরাটা এখনো বাকি’
- মাদকের চাহিদা না কমলে আমাদের উন্নয়ন বরবাদ হয়ে যাবে
- দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইন শপ স্বপ্ন এখন কুড়িগ্রামের কলেজ রোডে
- দেশে উৎপাদিত পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে ২৮২ ধরনের পাটজাত পণ্য
- সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে
- অক্টোবর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
- জালিয়াত চক্র থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ
- প্রতিমা বিসর্জনে থাকবে নৌপুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা
- দেশের সব ফিলিং স্টেশন নজরদারিতে থাকবে: নসরুল হামিদ
- দেশে প্রথমবার সড়ক নির্মাণে প্লাস্টিক-টাইলসের ব্যবহার
- বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অবান্তর: শেখ পরশ
- দেশকে সুস্থ রাখতে নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- বিদেশে আ.লীগের বন্ধু আছে, প্রভু নেই: ওবায়দুল কাদের
- সারাদেশে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ৮৭টি সেতু: কাদের
- ভারতের জন্য তৈরি হচ্ছে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
- আমার মায়ের মতো একজনকে হারিয়েছি: রানিকে শেষ শ্রদ্ধায় প্রধানমন্ত্রী
- ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- স্কুলে যাওয়ার পথে ডেকে নিয়ে ছাত্রকে বলাৎকার
- পঞ্চগড়ে শিগগিরই চালু হচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র

