ইসলামী ক্যালেন্ডারের চাহিদা ও মর্যাদা
প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২১
কালেন্ডার শুধু বর্ষপঞ্জি নয়, তা ঘরের শোভাবর্ধক ও ব্যক্তি-সংস্থার বার্তাবাহকও বটে। একটি নীরব প্রচারমাধ্যম। ক্যালেন্ডারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহারে পিছিয়ে নেই ধর্মীয় ধারার প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্থাগুলো। ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে তারা দ্বিন ইসলামের বাণী ও নিজস্ব মতবাদ প্রচার করে, তুলে ধরে ইসলামী ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়। ফলে বর্ষপঞ্জি হয়ে ওঠে ইসলামী স্মারক। ধর্মীয় রীতি-নীতি ও ইসলামী মূল্যবোধ বজায় রেখে বর্ষপঞ্জি তৈরিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইসলামী ধারার ব্যাংক ও বীমা সংস্থা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্থা, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ধার্মিক ব্যক্তিরাও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ইসলামী শিল্প-সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরি করেন।
ইসলামের স্মারক হিসেবে ক্যালেন্ডার
ইসলামী স্মারক বা ইসলাম প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ক্যালেন্ডারের ব্যবহারকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন ইসলামী চিন্তাবিদরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক ড. আহমদ আবুল কালাম বলেন, “ইসলামের স্মারক হিসেবে ক্যালেন্ডারের ব্যবহার মুসলিম সমাজের ইতিবাচক মনোভাবেরই অংশ। মুমিন যেকোনো জিনিসের ইতিবাচক ও ফলদায়ক ব্যবহারে বিশ্বাসী। মহানবী (সা.)-এর জীবনী পাঠ করলে দেখা যায়, তিনি তাঁর রাষ্ট্রীয় সিলমোহরে ‘মুহাম্মদ’-এর সঙ্গে ‘রাসুলুল্লাহ’ যোগ করেছিলেন। যেন তা দ্বিন প্রচারের মাধ্যম হয়। দ্বিন প্রচারে তিনি সমকালীন সব মাধ্যমই ব্যবহার করেছিলেন। সৌদি আরবের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ডে লেখা ডানে চলুন। এর নিচেই লেখা থাকে আল্লাহকে স্মরণ করুন। এটিই মুসলিম সমাজের বৈশিষ্ট্য যে তাদের জাগতিক উপায়-উপকরণকে ঈমান ও ইসলামের দীপ্তি প্রকাশ পায়।” তিনি আরো বলেন, ‘মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমরা স্মরণ করো, নিশ্চয়ই স্মরণ মুমিনকে উপকৃত করে। আর ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে মুসলিম সমাজকে বহু বিষয় স্মরণ করিয়ে দেওয়া সম্ভব। ক্যালেন্ডারে থাকতে পারে ঈমান ও বিশ্বাসের কথা, ইসলামের বিধি-বিধানের কথা, ইসলামের ইতিহাসের কথা, মুসলিম মনীষীদের কথা, অমর ইসলামী সাহিত্যের কথা, বহু বিষয় সেখানে আসতে পারে। যেমন—ছয় পৃষ্ঠার একটি ক্যালেন্ডারে হাদিসশাস্ত্রের বিশুদ্ধতম ছয়টি গ্রন্থ ও তাদের সংকলকদের পরিচিতি আসতে পারে। এই ছয়টি পৃষ্ঠা থেকে মহান মনীষী ও তাঁদের অবদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যাবে।’
বাংলাদেশে ধর্মীয় রীতি মেনে ক্যালেন্ডার
বাংলাদেশে প্রতিবছর ইসলামী রীতি-নীতি মেনে ঠিক কী পরিমাণ ক্যালেন্ডার হয় তার সঠিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা প্রায় অসম্ভব। তবে তার পরিমাণ মোট ক্যালেন্ডারের এক-তৃতীয়াংশের কম নয় বলে বিশ্বাস করেন ইসলামী ধারার প্রিন্টিং ব্যবসায়ীরা। ইসলামী ধারার অন্যতম প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান ‘প্রিন্ট মিডিয়া’র কর্ণধার শাহ ইফতেখার তারিক জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর আড়াই শ থেকে তিন শ প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডার তৈরি করে। আর তারা এক হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত ক্যালেন্ডার তৈরি করে থাকে। এতে প্রায় তিন লাখ কপি ক্যালেন্ডার তৈরি করে প্রিন্ট মিডিয়া। এমন অসংখ্য প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে সারা দেশে। সুতরাং ইসলামী ধারার ক্যালেন্ডারের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব।
বাড়ছে সচেতনতা
ক্যালেন্ডার তৈরিতে ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার প্রতি যত্নবান হচ্ছেন তাদের গ্রাহক। ফলে বড় হচ্ছে ইসলামী ক্যালেন্ডারের বাজার। শাহ ইফতেখার তারিক জানান, ব্যাবসায়িক স্বার্থে হলেও গ্রাহকদের অনেকেই ইসলামী মূল্যবোধবিরোধী বিষয়গুলো পরিহার করছেন। যেহেতু ইসলামী মূল্যবোধ ও বিশ্বাস বিরোধী কোনো বিষয় ক্যালেন্ডারে থাকলে অনেকেই তা ঘরে রাখতে চান না। তাই ব্যাবসায়িক চিন্তা থেকেই তাঁরা এমন ক্যালেন্ডার করছেন না। হ্যাঁ, তাঁরা হয়তো ইসলামী সিম্বল দিয়ে ক্যালেন্ডার করছেন না। তবে ইসলামের নিদর্শন মাথায় রেখে ক্যালেন্ডার করছেন। এটিও এক ধরনের সচেতনতা।
বাড়েনি বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার
শাহ ইফতেখার তারিকের ভাষ্য মতে, যাঁরা ক্যালেন্ডারে ইসলামী সিম্বল বা নিদর্শন, যেমন—মসজিদ, ক্যালিগ্রাফি বা ঐতিহাসিক স্থান ইত্যাদির ব্যবহার করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ধর্মীয় আবেগের জায়গা থেকে এটি করে। দ্বিন প্রচারের মাধ্যম বা ধর্মীয় স্মারক হিসেবে ক্যালেন্ডারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার তেমন বাড়েনি। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠনই শুধু সুচিন্তিতভাবে ক্যালেন্ডার তৈরি করে। অনেকে ইসলামের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্থান, প্রতিষ্ঠান ও স্মারকের বিবরণসহ ছবি ব্যবহার করে। অন্যরা নান্দনিকতার ওপরই গুরুত্ব দেয়। নান্দনিক মসজিদ ও ক্যালিগ্রাফির প্রতিই সাধারণ গ্রাহকের আগ্রহ বেশি।
শিল্প-সংস্কৃতির বাহক ক্যালেন্ডার
মাওলানা বশির মেসবাহ বাংলাদেশের অন্যতম বনেদি ক্যালিগ্রাফি শিল্পী। ‘সালসাবীল’ নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি মনে করেন, ক্যালেন্ডার ইসলামী শিল্প-সংস্কৃতির অন্যতম বাহক এবং দ্বিন প্রচারের মাধ্যম হতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘ক্যালেন্ডার দ্বিন প্রচারে বড় ভূমিকা রাখতে পারে, ইসলামী শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে সাধারণ মানুষকে পরিচিত করে তুলতে অবদান রাখতে পারে। যে জিনিসটি ১২ মাস মানুষের চোখের সামনে ঝোলে, নিশ্চয়ই মানুষের মনের ওপর তার প্রভাব কম নয়।’
ক্যালিগ্রাফি ব্যবহারে সতর্কতা আবশ্যক
ক্যালেন্ডারে ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। বিশেষত ক্যালেন্ডারে কোরআনের আয়াত ও হাদিস ব্যবহারে উৎসাহী অনেকেই। তাদের আবেগ ও অনুভূতি অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে ক্যালেন্ডারের অসচেতন ব্যবহারের কারণে তা কখনো কখনো পাপের কারণ হয়। কেননা ক্যালেন্ডারে কোরআনের আয়াত ও হাদিস ব্যবহার করার পরও বহু ক্ষেত্রে যথানিয়মে সংরক্ষণ করা না হয়। কোরআন ও হাদিসের সম্মান রক্ষার্থে ক্যালেন্ডারে তা ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে মুসলিম মনীষীদের বাণী ও শিক্ষণীয় নানা বিষয় ক্যালিগ্রাফির বিষয় হিসেবে উপস্থাপিত হতে পারে বলে মত দেন শিল্পী বশির মেসবাহ।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- বোদায় বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার
- বোদায় মহান মে দিবস পালিত
- গরমে পটোল খাওয়ার ৭ উপকারিতা
- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- নির্বাচনে অনিয়ম হলে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে: ইসি
- ‘সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে’
- মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
- আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন
- গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- দিল্লিকে সহজেই হারাল কলকাতা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
- মিনিটেই নকল ‘স্মার্ট কার্ড’, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- যেমন যাবে আজকের দিনের আবহাওয়া
- মোংলা একসময় বাতির নিচে অন্ধকার ছিল: মেয়র আব্দুল খালেক
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে