• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

হিজরি সনে রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৪  

আরবি হিজরি সনের ১২ মাসের মধ্যে রমজান মাসের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা। এই মাসেই পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয়েছে। আর এই মাসের নামই কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন,

شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ

উচ্চারণ: ‘শাহরু রামাদা-নাল্লাযীউনঝিলা ফীহিল কুরআ-নু হুদাল লিন্না-সি ওয়া বাইয়িনা-তিম মিনাল হুদা-ওয়াল ফুরকা-নি ফামান শাহিদা মিনকুমুশশাহরা ফালইয়াসুমহু’।

অর্থ: ‘রমজান মাস, যে মাসে বিশ্বমানবের জন্য পথ প্রদর্শন এবং সু-পথের উজ্জ্বল নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের প্রভেদকারী কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসে (নিজ আবাসে) উপস্থিত থাকে সে যেন সিয়াম পালন করে’। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

রমজান মহিমান্বিত রাত লাইলাতুল কদরের মাস। ক্ষমা মাগফিরাত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস এটি। হাদিসে এ মাসের অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এ মাসে রোজা রাখার প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দেবেন এবং রোজাদারদের বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এ মাসে ওমরাহ করলে নবীজির সঙ্গে হজ পালনের সওয়াব পাওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে।

উপরোক্ত সব ফজিলতের পাশাপাশি রমজানে মুসলমানদের এমন ৫টি বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে, যা আগের কোনো জাতিকে দান করা হয়নি।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানে আমার উম্মতকে এমন ৫টি বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে, যা আগের কোনো উম্মতকে দান করা হয়নি। (তা হলো), (এক) রোজাদারের মুখের (উপবাসজনিত) দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়েও প্রিয়। (দুই) রোজাদারের জন্য ফেরেশতাগণ ইফতারের সময় পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। (তিন) (রমজান মাসের) প্রতিদিন আল্লাহপাক রোজাদারের জান্নাতকে সুসজ্জিত করেন। এরপর আল্লাহ তাআলা (জান্নাতকে সম্বোধন করে) বলেন, ‘অতিসত্বর আমার নেকবান্দারা নিজেদের পার্থিব জীবনের কষ্ট-ক্লেশ থেকে মুক্ত হয়ে তোমার কাছে আসবে’। (চার) এ মাসে অবাধ্য শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে অন্যান্য মাসে তারা যেসব মন্দ কাজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারত, এ মাসে সে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। (পাঁচ) রমজানের সর্বশেষ রাতে রোজাদারদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সে রাত কি শবে কদর’? রাসূল (সা.) উত্তরে বললেন, ‘না, বরং নিয়ম হলো মজদুরকে কাজের শেষে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়’। (মুসনাদে আহমদ)

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –