• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সাদিও মানের বিশ্বকাপ স্বপ্নের সমাধি 

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২  

সাদিও মানের বিশ্বকাপ স্বপ্নের সমাধি                                  
সেনেগাল তারকা সাদিও মানেকে নিয়ে সংশয়টা আগেই ছিল। ইনজুরিতে পড়ার পরই তার বিশ্বকাপ স্বপ্নের শেষ দেখে ফেলেছিল অনেকে। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন সেনেগাল কোচ। বিশ্বকাপের স্বপ্নসারথীকে বাদ দিতে পারলেন না তিনি। তবে স্কোয়াডে থাকলেও শেষ মুহূর্তে জানা গেল, বিশ্বকাপেই আর খেলা হচ্ছে না মানের।

এর আগে যার বদৌলতে বিশ্বমঞ্চে সেনেগাল, সেই মানেকে নিয়েই সেনেগালের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছিলেন কোচ আলিয়ু সিসে। তাতে ৩০ বছর বয়সী মানে সেনেগাল দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সবশেষ আফ্রিকা নেশন্স কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারের তার গোলেই মিশরের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জেতে দলটি।

নেশনস কাপের শিরোপা জেতার মাস দুয়েক পরে আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের প্লে-অফের ফিরতি লেগে মিশরকে হারিয়েই বিশ্বকাপের টিকেট পায় সেনেগাল। তবে সেই মানেই আর খেলতে পারছেন না কাতারে। 

বুন্দেসলিগায় ভার্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের ৬-১ গোলে জয়ের ম্যাচে হাঁটুতে চোটে পান মানে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজ পায়ে উঠে দাঁড়ালেও খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি।

পরদিন অবশ্য বায়ার্ন সহকারী কোচ ডিনো টপমোলের জানান, মানের চোট অতোটা গুরুতর নয়। যদিও শালকের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচে তাকে পাবে না বায়ার্ন। তবে বিশ্বকাপে মানেকে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সেনেগাল কোচ সিসে।

এই ফুটবলারের চোট অবস্থা যাচাই করতে নিজেদের চিকিৎসক পাঠিয়েছিল সেনেগাল। সিসে জানিয়েছিলেন, তাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কথাই শোনা গেছে। কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে না মানের। তবে সব হিসেব গড়বড় হয়ে গেল শেষ মুহূর্তে এসে।

বৃহস্পতিবার করানো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে, চোট সারিয়ে তুলতে অবশ্যই অস্ত্রোপচার করাতে হবে। এতেই শেষ হয়ে যায় সেনেগালের সবচেয়ে বড় তারকার বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা।

আগামী রোববার পর্দা উঠবে কাতার বিশ্বকাপের। শেষ মুহূর্তে মানের ছিটকে পড়া সেনেগালের জন্য বিশাল এক ধাক্কা। সোমবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বর্তমান আফ্রিকান নেশন্স কাপ জয়ীরা।

সেনেগাল বিশ্বকাপ দল:

গোলরক্ষক:
সেনি দিয়েং (রেঞ্জার্স), আলফ্রেদ গোমিজ (রেন), এদুয়ার্দো মঁদি (চেলসি)

ডিফেন্ডার:
ফোদে বালো তুরে (মিলান), পাপে আবু সিসে (অলিম্পায়াকোস), আবদু দিয়ালো (লাইপজিগ), ইসমাইল জেকবস (মোনাকো), কালিদু কলিবালি (চেলসি), ফোরমোস মঁদি (আমিন্স), ইউসুফ সাবালি (রিয়াল বেতিস)

মিডফিল্ডার:
পাত ইসমায়েল সিস (ভাইয়েকানো), ক্রেপিন দিয়াতা (মোনাকো), ইদ্রিসা গানা গেই (এভারটন), পাপে গেই (মার্সেই) শেকু কুইয়াত (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), মামদো লউম (রিডিং), নাম্পালিস মঁদি (লেস্টার সিটি), মুস্তফা নেইম (পাফোস), পাপে মাতার সার (টটেনহ্যাম হটস্পার)

ফরোয়ার্ড:
বোলায়ে দিয়া (সালেরনিতানা), ফামাহা ডিডিউ (আলানিয়াস্পোর), বাম্বা দিয়েং (মার্সেই), নিকোলাস জ্যাকসন (ভিয়ারিয়াল), এলিমানে এনদিয়াই (শেফিল্ড ইউনাইটেড), ইসমাইলা সার (ওয়াটফোর্ড)

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –