• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: কাদের

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২০  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই। তাকে ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলা যাবে না। ইতিহাসের মহানায়ককে ইতিহাসের ফুটনোট দিয়ে ঠেকানো যাবে না। স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠককে স্বাধীনতার ঘোষক করা ইতিহাসের সঙ্গে প্রতারণা।

গতকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) রাতে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ওপর আনিত প্রস্তাব সাধারণের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭(১) বিধিতে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর আর কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে কেউ কি বলতে পারবে অবলা নারী টার্গেট, অবুঝ শিশু টার্গেট, সদ্য বিবাহিত নববধূ টার্গেট। সেদিন টার্গেট হয়েছিল বাংলার অবলা নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বিশ্বের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যাকাণ্ড, এই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলার মাটিতে রাতারাতি সব পাল্টে গেল, নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুক্তিযুদ্ধের জয়ধ্বনি জয়বাংলা। নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, পুরস্কৃত করা হলো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের, বিদেশে পাঠানো হলো নিরাপদে বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হলো এটা কি ভুলে যেতে পারবে? এই স্মৃতি কি মুছে দিতে পারবে। কারা সেই খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল? সেদিন কারা ইনডেমনিটি দিয়েছিল? আমরা তো কোনও বিচারই চাইতি পারিনি। আজকে আপনার ন্যয় বিচারের প্রশ্ন তুলেছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সেদিন ইনডিমনিটি দিয়েছেন, সেই অপরাধ কি আপনারা ভুলতে পারবেন? বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রাজনীতির সম্পর্কের বিভেদের এবং বিদ্বেষের যে উঁচু দেয়াল উঠেছিল যে দেয়াল সেদিন তোলা হয়েছিল এই অলঙ্ঘনীয় দেয়াল আরও উঁচু হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে যে গ্রেনেড হামলা পরিচালিত হয়েছিল মাস্টার মাইন হাওয়া ভবন অস্বীকার করতে পারবেন না। ইতিহাসের এই সত্যকে চাপা দিয়ে রাজনীতিতে আজ যে পারস্পরিক সম্পর্কের সন্মান আস্থাবোধ সেটা ফিরে আসতে পারেনি।

কাদের বলেন, ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত যদি ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। ঘৃণাভারে শুধু প্রত্যাখান করেননি টেলিফোন সংলাপে কত অশ্রব্য গালিগালাজ। এটাই কি সম্প্রতির রাজনীতি? সংলাপের কথা বলেন এরপরও তো শেখ হাসিনা সংলাপ করেছিল। তিনি চেষ্টা করেছেন একটা সুন্দর রাজনীতির সম্পর্ক গড়ে তোলবার কিন্তু পারেননি।

তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ছিল বলে বঙ্গবন্ধু হত্যার কলঙ্ক থেকে জাতিকে মুক্ত করতে পেরেছিল। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত সেই কুলাঙ্গারদের বিচার করতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশে আর কেউ দেখাতে পারত না বলে আমার বিশ্বাস। তাই যারা রাজনীতি করেন যে যে দলই করেন বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা বইটি পড়ুন, রাজনীতিবিদদের জন্য এটা একটা শিক্ষা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ুন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –