• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাজ শুরু

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২১  

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কাজ করছে এ কমিটি।

স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং করতে গত ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসকে প্রধান করে ২২ সদস্যের এ কমিটি গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এ কমিটির প্রথম ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এলডিসি হতে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্র, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প এবং ওষুধ শিল্পে সম্ভাব্য বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব এবং উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন। সভায় এলডিসি হতে উত্তরণের ফলে বিভিন্ন সেক্টরে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দিনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই সাব-কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে সেক্টর ভিত্তিক চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে এবং কর্মপরিধি নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

এলডিসি হতে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা হারাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণের পর ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি এ্যাক্সেস এবং দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক পক্ষ থেকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার বিষয় সঙ্কুচিত হবে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব আইনের বিষয়টি ২০৩৩ সালের পরে যে কোন সময় সঙ্কুচিত হবে বলে তিনি জানান।

সভায় কমিটি এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত এবং মতামত পেতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেক্টরের বিশেষজ্ঞ এবং একাডেমিস্টদের সঙ্গে একটি বৃহৎ আকারের সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সভা থেকে। উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি প্রতিমাসে নিয়মিত একবার সভায় বসবে।

কমিটির সদস্য হিসেবে এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন- প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (জিইডি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, ইআরডি সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি সচিব, পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট, বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট, ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) এর প্রেসিডেন্ট।

প্রসঙ্গত, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি রফতানি ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি প্রবেশাধিকার এবং সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে বিদেশী ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সঙ্কুচিত হবে। সভায় এ বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে আসে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –