• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দিনাজপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২১  

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুর সদরে ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় তৃতীয় দিন বুধবার। তৃতীয় দিনের লকডাউনে বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ভোর ৬টা থেকে সদর উপজেলার প্রবেশ মুখগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

লকডাউনের প্রথম ইজিবাইক চালকদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শহরে ইজিবাইক চলাচল তেমন নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষ এখন মোটরসাইকেল চালানোর ওপর বিধিনিষেধ জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

এরআগে রোববার (১৩ জুন) রাত ১০টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি স্বাক্ষরিত এক পত্রে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা দেয়া হয়।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, শহরের প্রবেশ মুখগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহর থেকে কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। একইভাবে বাইরে থেকে শহরেও কাউকে টুকতে দেয়া হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রবেশমুখ সদর এবং বিরলের প্রবেশমুখ কাঞ্চন ব্রিজ, সরকারি কলেজ মোড়, চিরিরবন্দর বটতলী, মহনপুর, পুলহাটসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তত্ত্বাবধানে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। যাত্রী পরিবহন করা বাস, মিনিবাসগুলো সদর উপজেলার বাইরে চলাচল করছে।

শহরের প্রবেশ মুখগুলো থেকে যানবাহন ও মানুষদের ফিরিয়ে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় অনেককে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে দেখা যায়।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, মঙ্গলবার (১৫ জুন) ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৬০ জন সদর উপজেলার। সংক্রমণের হার ৩৮.৯৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ১৪৪ জন ব্যক্তি করোনায় আত্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এদিকে সীমান্তবর্তী জেলা হাকিমপুরে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।

পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই পুলিশ প্রশাসন মাঠে রয়েছে। দ্বিতীয় দিনে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে প্রশাসন আরও কঠোর হবে।’

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –