বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা: মূলত বাঙালির বাঁচার দাবি
প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২১
আব্দুর রহমান
বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে 'ছয় দফা দাবি' পেশ করেন।
৪ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব পাকিস্তানের লাহোরে পৌঁছান এবং তার পর দিন অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ছয় দফা দাবি পেশ করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি পত্র-পত্রিকায় শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে তিনি নিজেই ৬ ফেব্রুয়ারি এর সম্মেলন বর্জন করেন।
ছয় দফা দাবি ঘোষণা করার পর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ শেখ মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'আপনি এই যে ছয় দফা দিলেন তার মূল কথাটি কি? উত্তরে আঞ্চলিক ভাষায় শেখ মুজিব বলেছিলেন- 'আরে মিয়া বুঝলা না, দফা তো একটাই। একটু ঘুরাইয়া কইলাম।'
লাহোরে পেশ করা ছয় দফা বঙ্গবন্ধুর একটু ঘুরিয়ে বলা এক দফাই হলো বাঙালির মুক্তির দফা, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দফা।
লাহোর থেকে ঢাকায় ফিরে পরের মাসেই শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা প্রস্তাব এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের কর্মসূচি গৃহীত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিন আহমদের ভূমিকা সংবলিত ছয় দফা কর্মসূচির একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। যার নাম ছিল 'ছয় দফা: আমাদের বাঁচার দাবি'। ২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব বিরোধীদলীয় সম্মেলনে ৬ দফা পেশ করেন। এরপর ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় লাহোর প্রস্তাবের সঙ্গে মিল রেখে। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তান হবে একটা ফেডারেল রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন থাকবে। ছয় দফা কর্মসূচি জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শেখ মুজিব এবং তাঁর সহকর্মীরা সারা দেশে মহকুমায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করলেন।
এই ছয় দফাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে গণজাগরণের সৃষ্টি হলো। দৈনিক ইত্তেফাক এর পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। তখন শেখ মুজিব যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই কর্মসূচিকে তারা 'বাঙালির বাঁচার দাবি' হিসেবে অভিহিত করেন।
১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবিসমূহ :
দফা-১ : শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি :
লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।
দফা-২ : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা :
কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দু'টি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে- যথা, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
দফা-৩ : মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা :
মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দু'টির যেকোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারে-
(ক) সমগ্র দেশের জন্যে দু'টি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অথবা
(খ) বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।
দফা-৪ : রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা :
ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনোরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সব রকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।
দফা-৫ : বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা :
(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে।
(খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে।
(গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোনো হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে।
(ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোনো রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না।
(ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
দফা-৬ : আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা :
আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলকে চাঙ্গা করা এবং দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠার জন্যেও শেখ মুজিবের এরকম একটি কর্মসূচির প্রয়োজন ছিল।
১৯৬৬ সালের ২রা জুলাই প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বলেন, 'মানুষের আবেগ প্রবণতা নিয়া খেলা করতে অভ্যস্ত এইরূপ একটি গোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানে গোলযোগ সৃষ্টির প্রচেষ্টা করিয়াছিল। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দোহাই দিয়া তাহারা এমন একটি কর্মসূচি চালু করতে প্রয়াসী হইয়াছিল। যাহা দেশের বিভিন্ন অংশে কেবলমাত্র ঘৃণা ও বিদ্বেষেরই প্রসার ঘটাইত।' তাদের কার্যকলাপ সীমা ছাড়িয়েছে বলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত এবং জনগণ ভুল পথে পরিচালিত হওয়া হইতে রক্ষা পাইয়াছে।'
ছয় দফার জন্মের পেছনে মূল কারণ ছিল মূলত পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক বৈষম্য। তাই ছয় দফা হঠাৎ করেই আসমান থেকে পরেনি। এর প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘদিনের। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, '৪৭ সালের ভারত ভাগ, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, '৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন - এসবই ছয় দফার ভীত তৈরি করেছে। পরবর্তীকালে এই ছয় দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের তথা স্বাধীনতার আন্দোলন জোরদার হয়। বাংলাদেশের জন্য এই আন্দোলন এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে আন্দোলনকে 'ম্যাগনা কার্টা বা 'বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ'ও বলা হয়।
'ছয় দফা যে পূর্ব বাংলার প্রাণের দাবি- পশ্চিমা উপনিবেশবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল পশ্চিম পাকিস্তানের শোষকশ্রেণী যে আর পূর্ব বাংলার নির্যাতিত গরিব জনসাধারণকে শোষণ বেশিদিন করতে পারবে না, সে কথা আমি এবার জেলে এসেই বুঝতে পেরেছি। বিশেষ করে ৭ জুনের যে প্রতিবাদে বাংলার গ্রামে-গঞ্জে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফেটে পড়েছে, কোনো শাসকের চক্ষু রাঙানি তাদের দমাতে পারবে না। পাকিস্তানের মঙ্গলের জন্য শাসকশ্রেণির ছয় দফা মেনে নিয়ে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করা উচিত। যে রক্ত আজ আমার দেশের ভাইদের বুক থেকে বেরিয়ে ঢাকার পিচ ঢালা কালো রাস্তা লাল করল, সে রক্ত বৃথা যেতে পারে না।'
(কারাগারের রোজনামচা, ২ জুলাই, ১৯৬৬)
১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। শেখ মুজিবসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এই দিন আওয়ামী লীগ সমগ্র পূর্ব-পাকিস্তানে হরতাল ডাকে। হরতালে টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হক, মুজিবুল হকসহ মোট ১১ জন বাঙালি শহিদ হন। ৬ দফা আন্দোলনের প্রথম শহিদ ছিলেন সিলেটের মনু মিয়া।
শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফাই যে সাড়ে পাঁচ কোটি বাঙালির মনের কথা ছিল, তার চাক্ষুষ প্রমাণ হলো ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচন। আওয়ামী লীগে জাতীয় পরিষদে ১৬০টি সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত নারী আসন ৭টি, মোট ১৬৭টি আসন এবং প্রাদেশিক নির্বাচনে ২৮৮টি সাধারণ আসন ও ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ মোট ২৯৮টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।
ছয় দফা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেখ মুজিব সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হককে বলেছিলেন: 'আমার দফা আসলে তিনটা। কতো নেছো (নিয়েছ), কতো দেবা (দিবে), কবে যাবা?'
১৯৭০ সালে পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের রিপোর্ট মতে উন্নয়ন ও রাজস্ব খাতে পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় পশ্চিম পাকিস্তানে ৬০ শতাংশ বেশি ব্যয় করা হয়েছে। ফলে পশ্চিমের মাথা পিছু আয়ও বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার সঙ্গে রাজনৈতিক বৈষম্য তো ছিলই। প্রশাসনে বাঙালিদের নিয়োগ দেওয়া হতো না। নেওয়া হতো না সেনাবাহিনীতেও। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক বৈষম্যও মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন, ১৭ দিনের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ছয় দফার আশু পটভূমি তৈরি হয়েছিল। এই যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান সামরিক দিক থেকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল। সে কারণে এই অঞ্চলের রাজনীতিবিদ ও লোকজনের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। শেখ মুজিব বলেছিলেন যে 'এই যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নতুন গুরুত্ব পেয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে'। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানে আক্রমণ না করায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেছিলেন, 'চীনের ভয়ে ভারত পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধে জড়াতে সাহস করেনি।'
জবাবে শেখ মুজিব বলেছিলেন, 'পূর্ব পাকিস্তানকে যুদ্ধকালীন সময়ে এতিমের মতো ফেলে রাখা হয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরা যদি দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত লেফট রাইট করে হেঁটে যেত তবুও তাদেরকে বাধা দেওয়ার মতো অস্ত্র বা লোকবল কিছুই পূর্ব বাংলার ছিল না। আর চীনই যদি আমাদের রক্ষাকর্তা হয় তবে পশ্চিম পাকিস্তানের বদলে চীনের সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধলেই হয়।'
এর পর থেকেই শেখ মুজিবকে বার বার গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটক রাখা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তখনই শোনা গেল 'জেলের তালা ভাঙবো শেখ মুজিবকে আনবো' এই স্লোগান।
ছয় দফা আন্দোলনের শুরু থেকেই রাজনীতিবিদদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও যুক্ত ছিল। নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে কারখানার শ্রমিকরাও এর সঙ্গে শরিক হলো। কিন্তু এর আগে বিভিন্ন আন্দোলনে মূলত শিক্ষার্থীরাই ভূমিকা পালন করেছিল। পরে '৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে কৃষকরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। কারণ শেখ মুজিব সারা দেশের মানুষকে এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন- পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের সম্পদ লুটে নিচ্ছে এবং বাঙালিদের পদে বঞ্চিত করছে।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমার নিজের কানে শোনা। ছাত্রলীগের নেতা সিরাজুল আলম খান একটি সভায় মন্তব্য করেছিলেন যে শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই এদেশকে স্বাধীন করতে হবে। কারণ লোকে তার কথা শোনে।' 'অর্থাৎ ৬ দফার পর তিনি অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠতে শুরু করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মুক্তি পাওয়ার পর তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয় এবং এর পর থেকেই তিনি হয়ে উঠলেন বাঙালির মুখপাত্র।'
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন সবকিছু তার কাঁধে তুলে নিলেন। মহাজাদুকর ছিলেন তিনি। কথায় জাদু ছিল তাঁর। ১৯৬৬ থেকে ৭০ এই চার বছরে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন। ছয় দফা ঘোষণা করে শেখ মুজিব বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পুরোধা হয়ে উঠলেন।
ছয় দফা ঘোষণার পাঁচ বছর মধ্যে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হন এই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি।
লেখক: সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ চালু হবে আগামী জুনে
- গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করার নির্দেশ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার শক্তি ও সামর্থ্য নেই বিএনপির
- রৌমারীতে মাদরাসাছাত্রদের মারধরের অভিযোগে শিক্ষক আটক
- রংপুরের শতরঞ্জি পেল জিআই পণ্যের স্বীকৃতি
- নতুন প্রজন্মকে অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে রাখতে হবে- শিক্ষামন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- আরও ১০ হাজার কিমি নৌপথ খনন করা হবে- প্রতিমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে ‘মুজিব চিরঞ্জীব’ ম্যুরাল উন্মোচন
- ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
- ভারত সীমান্তঘেঁষা বিরামপুরে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত
- দিনাজপুরে করোনায় তিনজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৫
- অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডস
- কয়েকটি দেশের নাগরিক পরীমনির বন্ধু অমি
- আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান
- রোহিঙ্গা ফেরাতে জাতিসংঘের রোডম্যাপ চেয়েছে বাংলাদেশ
- দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হলো তাজমহল
- বঙ্গবন্ধু দেশের সবচেয়ে বড় মেধাসম্পদ ছিলেন- শিল্পমন্ত্রী
- জাতিসংঘের প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ পুলিশ
- জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কাউন্সিলের সদস্য হলো বাংলাদেশ
- নীলফামারীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন ২৪৯০ জন
- নীলফামারীতে ‘করোনা পরিস্থিতি ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনার
- ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫০ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান
- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাজেট ঘোষণা
- কুড়িগ্রামে পৌছেছে সিনোভ্যাক্সের ৮৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন
- পীরগঞ্জ হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান
- সৈয়দপুরে পাখি শিকার রোধে সচেতনতামূলক বিলবোর্ড
- প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পাচ্ছে আরও সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবার
- বালিয়াডাঙ্গীতে কাঁচামাল ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
- কঠোর বিধি নিষেধের আওতায় কুড়িগ্রাম পৌর এলাকা
- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদকের ডিজাইন আহ্বান
- তেঁতুলিয়ায় কাভার্ডভ্যান-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- সামাজিক অনাচারের প্রতিবাদ করা সবার দায়িত্ব
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের শত বছরের তাণ্ডব
- কুড়িগ্রামে মার্কেটে আগুন, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
- সাকিবের শাস্তি মওকুফে মোহামেডানের আবেদন
- মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ- প্রধানমন্ত্রী
- আব্বাস-গয়েশ্বর-রিজভীর নেতৃত্বে নতুন বিএনপির গুঞ্জন
- ভারতে ফের করোনার নতুন ধরন!
- নাগরিক সেবা দিতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নয় উদ্ভাবনী উদ্যোগ
- মিঠাপুকুরে করলাক্ষেতে ভাইরাসজনিত পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দিয়েছে
- এসএসএসি ১৫০ ও এইচএসসি ১৮০ দিন ক্লাসের পর পরীক্ষা
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- স্মৃতির ক্যানভাসে মাটির ঘর
- ঢালাওভাবে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ নয়- প্রধানমন্ত্রী
- ‘২০৪১ সালে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে’
- বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের পক্ষে- প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ‘নট আউট’ দিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন ঈশিতা
- করোনায় মসজিদে বিয়ের বিষয়টি প্রশংসনীয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
- ’৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য ৪০ গিগাওয়াট জ্বালানি চান প্রধানমন্ত্রী

