• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

মামুনুল হকের কথিত স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানেন না এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২১  

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর মহাসচিব মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা জান্নাত ওরফে ঝরনার পরিচয় মিলেছে। উপজেলা জুড়ে এখন ঝরনাকে নিয়েই চলছে আলোচনার ঝড়। তবে জান্নাতের আগে বিয়ে হয়েছে, দুটি সন্তান আছে, এ কথা সবাই জানলেও দ্বিতীয় বিয়ের কোনও খবরই জানেন না এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জান্নাত আরা ঝরনার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম-কুলধর গ্রামে। তার পিতার নাম ওয়ালিয়ার রহমান। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মামুনুল হকের দাবি মতে, সঙ্গে থাকা ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার নাম আমেনা তৈয়াবা। ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। তবে ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা জান্নাত বলে পরিচয় দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারের পর জান্নাত আরা ঝরনার দ্বিতীয় বিয়ের কথা তার গ্রামের বাড়ি আলফাডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়ে, শুরু হয় তোলপাড়।

সংবাদ পেয়ে শনিবার রাতে ঝরনার গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার বাবা-মায়ের মোবাইলনম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়িতে গিয়েও যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।

কামারগ্রামের বাসিন্দা ও আলফাডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সেকেন্দার আলম জানান, এ ঘটনা প্রচারের পর অনেকেই জানার জন্য মোবাইলফোনে কল করেছেন। জান্নাত আরা নাম হলেও, আমাদের এলাকায় সে ঝরনা নামে পরিচিত। তার বিয়ে হয়েছে খুলনায়। দুটি ছেলেও আছে, তবে পরের বিয়ের খবর জানা নেই। আজকেই শুনলাম, খবরে দেখলাম।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকু জানান, ঝরনার বাবা ওয়ালিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আমার সময়ের কমিটির কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন, পরে তাকে সভাপতি করা হয়। বর্তমান কমিটিতে উনি সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তবে তিনিও বিয়ের কথা শুনে আশ্চর্য হন। আবার বিয়ে হইছে তাতো শুনি নাই, গ্রামবাসী কেন, পরিবারের সদস্যরাও জানে কিনা সন্দেহ আছে।

ওয়ালিয়ার রহমানের (ঝরনার পিতা) প্রতিবেশী ও কামারগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান সাইক্লোন জানান, ঝরনার পিতা ওয়ালিয়ার ভাই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহজ সরল মানুষ। কট্টর আওয়ামীপন্থী নেতা, তার মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছে। তার দুই ছেলেও আছে, পরে বিয়ে হয়েছে কিনা জানি না। তবে তার পরিবারও সম্ভবত জানে না। জানলে গ্রামবাসীতো অন্তত জানতো।

উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর মহাসচিব মামুনুল হক শনিবার (৩ মার্চ) এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার নাম আমেনা তৈয়াবা। ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। যদিও ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা জান্নাত বলে পরিচয় দেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –