• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

লালমনিরহাট-১ আসনে নৌকার মাঝি মোতাহার!

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের দলীয় মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত হলেও এতে বাঁধ সেজেছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মেজর (অব.) খালিদ আখতার।

মেজর খালিদ মহাজোটের প্রার্থী হতে চাচ্ছেন এ আসনে। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধানের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত হলেও জামায়াত নেতা এরশাদ হোসেন সাজু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেছে।

সূত্র জানায়, লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনটি দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির দুর্গ ভেঙ্গে পরপর তিনবার এমপি নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন।

১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান, ২০০১ সালে বিরোধী দলীয় হুইপ, ২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ২০০৯ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৪ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়ে টানা ১৮ বছর ধরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন মোতাহার হোসেন। যে কারণে মোতাহার হোসেন রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তি হিসেবে ক্লিন ইমেজ তৈরি করেছেন।

আওয়ামী লীগের এই দুর্গে মহাজোটের এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মেজর (অব.) খালেদ আক্তার। যদিও তিনি এ আসনের বাসিন্দা নয়। অপর দিকে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট থেকে দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ করে আসছেন ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান। কিন্তু জামায়াত নেতা এরশাদ হোসেন সাজু ওই আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

জানা গেছে, মোতাহার হোসেনের বাড়ি জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায়। ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধানের বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলায়। হাতীবান্ধা উপজেলায় পাটগ্রাম উপজেলার চেয়ে অনেক বেশি ভোট। আওয়ামী লীগ থেকে অপর ২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলায়। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ থেকে যদি পাটগ্রাম উপজেলায় কেউ প্রার্থী হয় তাহলে এ আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হতে পারে।

তাছাড়া এ আসনে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কোন অবস্থান ও ভোট নেই। সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থী যদি মহাজোটের প্রার্থী হয় তবুও আসনটি হাতছাড়া হতে পারে। এ আসনে জাতীয় ঐক্য জোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপির বিকল্প নেই।

পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজু, হাতীবান্ধা উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান বলেন, এ আসনটি ধরে রাখতে পর পর ৩ বারের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের বিকল্প নেই। কারণ মোতাহার হোসেন রাজনীতির পাশাপাশি সাধারন মানুষের কাছে ক্লিন ইমেজের হওয়ায় ব্যক্তি হিসেবে ফ্যাক্টর। মোতাহার হোসেন ছাড়া অন্য কেউ এ আসনে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের প্রার্থী হলে আসনটি হাতছাড়া হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –