• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ ঘণ্টায় র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ২৯০। মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা: ছয়জন রিমান্ডে।

রাইসির হেলিকপ্টারের যে সমস্যার কথা জানালেন তুর্কি পরিবহনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৪  

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার আকস্মিক এ মৃত্যুতে শোকার্ত পুরো ইরান। ইতোমধ্যে পাঁচদিনের জাতীয় শোক পালিত হচ্ছে দেশটি জুড়ে। এর মধ্যেই ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে রাইসির এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘিরে। চলছে তদন্তও। এমন পরিস্থিতিতে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তুরস্কের পরিবহনমন্ত্রী আবদুলকাদির উরালোগলু।

তুরস্কের মন্ত্রী আব্দুলকাদির উরালোগ্লু বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সিগন্যাল সিস্টেম চালু ছিল না অথবা এটিতে তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেন্টার ফর এভিয়েশন অ্যাক্সিডেন্ট পরিচালিত এক জরুরি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, ইরানের দুর্বলতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তুকি পরিবহনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হেলিকপ্টার থেকে একটি সংকেত পরীক্ষা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্ভবত হেলিকপ্টারটির সিগন্যাল সিস্টেমটি বন্ধ ছিল বা হেলিকপ্টারটিতে সিগন্যাল সিস্টেমই ছিল না। ফলে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারিনি।

তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, তারা গতরাতে ইরান থেকে একটি কল পান যাতে সংকেত শনাক্ত করতে সহায়তা চাওয়া হয়। তিনি বলেন, আমরা সংকেতটি পরীক্ষা করেছি।

তিনি আরো জানান, আমরা জানি না আসলে হেলিকপ্টারটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ছিল না নাকি এটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে হলেও এটি বন্ধ থাকার কথা নয়। সব ধরণের বিমান, বিশেষ করে যেসব হেলিকপ্টার রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বহন করে সেগুলোতে এই ব্যবস্থা থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।

উল্লেখ্য, বিধ্বস্ত ওই হেলিকপ্টারের সন্ধানে সহযোগিতা করতে ড্রোন এবং বিশেষ হেলিকপ্টার পাঠায় তুরস্ক। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে আরও কয়েকটি দেশ। শেষ পর্যন্ত তুরস্কের বায়রাক্টার আকিনসি ড্রোনের সাহায্যেই হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। আকিনসি-০১ (Akinci) নামের ড্রোনটি আজ সোমবার সকালে বাতাসে তাপের উপস্থিতি শনাক্ত করে ধ্বংসাবশেষের স্থানটিকে চিহ্নিত করে। সেখান থেকে পরে রাইসি ও তার সহযাত্রীদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।

ওপেন সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটগুলো ওই ড্রোনটির গতিপথ চিহ্নিত করেছে। এতে দেখা গেছে, ওই ড্রোনটি তার উদ্ধার অভিযান শেষ করে আবারো তুরস্কের ভ্যান অঞ্চলে ফিরে যায়। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –