• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

কনকনে শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২২  

কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত শুরু হতেই অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড শীত। তীব্র কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

শনিবার (১ জানুয়ারি) ভোর থেকে সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পথ-ঘাট। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীত নিবারণের জন্য অনেকে শুকনা খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। অনেকে শীতেই বেরিয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে।

জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা এলাকার অটোরিকশাচালক আয়নাল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঠান্ডা বাতাসে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু না চালিয়ে উপায় কী? পরিবারকে কী খাওয়াবো?’

নওয়াব এলাকার পানদোকানি আকবর আলী বলেন, ‘দুইদিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে পানিতে হাত দিতে পারছি না।’

কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা নদীর তীরে বসবাসরত ভূমিহীন আমেনা ও আম্বিয়া বলেন, ‘আমরা ভূমিহীন। নদীর পাড়ে বসবাস করি। আমাদের কোনো শীতবস্ত্র নেই। শীতের কাপড়ের অভাবে খুব কষ্টে দিন পার করছি। কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। কিন্তু শীতের কাপড় না থাকায় ঠান্ডায় কাজকর্ম করে খেতে পারছি না।’

গায়ে গরম কাপড় না থাকায় শীতে কাঁপছিলেন ধরলা নদীরক্ষা বাঁধে বসবাসরত ভিক্ষুক রাশেদা, মমেনা ও ছামিনা। তারা বলেন, বিভিন্ন এলাকায় শীতের কাপড় দিচ্ছে। আমাদের এলাকায় কেউ দেয় না।

এদিকে সরকারিভাবে নয় উপজেলায় ৩৫ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন কার্যালয়। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটা অপ্রতুল বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমে শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –