• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

মাল্টা চাষে সফল দুলু

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দিনাজপুরের চিনিরবন্দরে প্রথমবারেই মাল্টা চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন চাষি মাজেদুর রহমান দুলু। নিজস্ব কিছু গবেষণা আর ইউটিউব চ্যানেল দেখে মাল্টা চাষ করে তিনি পেয়েছেন এ সফলতা। তার এই মাল্টার বাগান দেখে পরামর্শ নিচ্ছেন অনেকেই।

২০১৬ সালের শেষের দিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত ৭০ শতক জমিতে ৩৪০টি মালটার গাছ লাগিয়েছিলেন। এই পতিত জমি প্রস্তুত, রাসায়নিক ও জৈব সার দিয়ে শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত তার সর্বমোট খরচ হয়েছে ২ লক্ষাধিক টাকা। গত এক বছর ধরে তার এই মাল্টা বাগানে তেমন খরচ নেই। গত ২০১৮ সাল থেকেই তিনি মাল্টার ফলন আসতে থাকে। ২০১৯ সাল থেকেই মাল্টার বাজারজাতকরণ শুরু করেন। প্রথমবার মাল্টা বিক্রি হয় ৪০ হাজার টাকা। তবে এ বছর যে পরিমান মাল্টার ফলন হয়েছে তাতে ২ লক্ষাধিক টাকার অধিক বিক্রি করতে পারবেন।

চাষি মাজেদুর রহমান দুলু বলেন, গত চার বছরের তুলনায় এ বছর যে পরিমান মালটা গাছে ফলন এসেছে তাতে এ বছরই তার সব খরচ উঠে আসবে। মাল্টা বাগানে বারি -১ , ভেরিকেট , ভিয়েতনামী জাতের মাল্টাসহ কিছু কমলারও চাষ করেছি। এই ব্যাপক হারে মালটা ধরার কারণ হিসেবে প্রতিটি মালটা গাছে কলম চারার প্লান্টেশন করেছি। ফলে মালটার ফলন অনেক বেশি। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ মাল্টা ধরেছে, এতে গাছের ডাল নূয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাজারসহ অনেক পাইকার বাগান থেকেই এই মাল্টা কিনে নেন। 

তিনি আরো বলেন, আমি কল্পনাও করতে পারিনি যে আমার এই জমিতে মাল্টা চাষ হবে। অনেকটা চ্যালেঞ্চ নিয়েই কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এই মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছি। নিজস্ব কিছু গবেষণা আর ইউটিউব চ্যানেল দেখে মাল্টা চাষ করে আমি সফলতা পেয়েছি। এই মাল্টার বাগান আমি ধীরে ধীরে আরো বড় করছি। আমার এই মাল্টার বাগান দেখে অনেকেই এখন আমার কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন।

মাল্টা বাগানের শ্রমিক হুরমুজ আলী জানান, মাল্টার প্রতিটি গাছে এখন ফলন এসেছে। ফলন আসার আগ থেকে গাছের গোরায় জৈবসার চায়ের পাতার অবশিষ্ট অংশ ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়েছে। এখন মাল্টার ভারে প্রতিটি গাছ নূয়ে পড়েছে। আগামী অক্টোবর থেকেই মাল্টার বাজারজাত করা যাবে।  

স্থানীয় ইব্রাহিম আলী বলেন, দুলুর মাল্টা বাগানে এসে মনটা ভরে গেল। প্রতিটি গাছে এতো মাল্টা ধরেছে, যা আগে কখনো দেখিনি। 

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান জানান, এ বছর দিনাজপুরে ১১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হয়েছে। প্রতি বছর মাল্টার চাষ বাড়ছে। মালটা চাষের জন্য দিনাজপুরের মাটি অত্যন্ত উর্বর। চাষিদের মাঝে মালটার চাষের উদ্বুদ্ধ করার জন্য বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ। এক সময় দিনাজপুরের মাল্টা সারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে বলেও আশা করেন তিনি। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –