• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বাংলাদেশের উন্নয়নে অভিভূত ইইউ রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২১  

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি। ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঢাকায় ইইউর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, প্রেস ও তথ্য বিভাগের প্রধান ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই সময়ের বাংলাদেশের তুলনায় বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নে আমি অভিভূত।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি। সাক্ষাৎ শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পোও আজ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার্লস হোয়াইলি বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের প্রতি ইইউর সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
চার্লস হোয়াইলি গত ৫ অক্টোবর বঙ্গভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ইইউর রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেন। তার আগে ইইউর রাষ্ট্রদূত ছিলেন রেনসে তিরিঙ্ক।

উন্নয়ন নিয়ে অভিভূত হলেও অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত কিছু বলেছেন কি না, বিজ্ঞপ্তিতে তা উল্লেখ করা হয়নি। উন্নয়ন চিত্রের কোন অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত অভিভূত হয়েছেন, সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পোর সঙ্গে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, কোভিডকালীন অর্থনীতি, পুনরুদ্ধার, কর্মসংস্থান, নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, সমতা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় অর্থমন্ত্রীর। মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নারীর কর্মস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের দীর্ঘ কূটনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে মিয়া সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশে চার বছরের কর্মকাল তাঁর জীবনের উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আর অগ্রগতির পথে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে জাতিসংঘ বরাবরের মতো সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাঁর সেই দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে গত এক দশকে গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিকালে গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে আছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এ উন্নয়ন প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের শ্রেণিতে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান অগ্রাধিকার সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য ইইউর প্রতি আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইইউ সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সর্ববৃহৎ গন্তব্য। দেশের উন্নয়নের অন্যতম আস্থাশীল অংশীদার ইইউ। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের এ সম্পর্ক আগামী দিনে আরও বাড়বে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –