সরকারের নানামুখী উদ্যোগে নৌবাহিনী এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনী

সততা, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগে বলীয়ান হয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনীকে সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে দেওয়া বক্তব্যে সরকারপ্রধান একথা বলেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির এ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে সকালে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা সুনিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আইনের বিষয়টি টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্র সীমানায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু একটি আইন প্রণয়ন করেছিলেন। জাতিসংঘ আরো অনেক পরে সেই আইনটি তৈরি করে। বাংলাদেশে আর কোনো সরকার সমুদ্র আইন করতে কোনো কাজ করেনি।’

প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্র সীমার অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুইটি প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং মিয়ানমারের কাছ থেকে আমাদের সমুদ্র সীমার অধিকার আদায় করতে সক্ষম হই।’

নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে তার সরকারের নানামুখী উদ্যোগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনীতে ১৪ বছরে ৩১টি যুদ্ধ জাহাজ সংযোজন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিনও সংযুক্ত করা হয়। নৌবাহিনীতে আরো কিছু নতুন জিনিস সংযোজন করা হবে। দুটি হেলিকপ্টার সংযোজন করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্ণফুলী টার্নেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমরা নৌবাহিনীকে দিয়েছি। আমরা ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি। কিন্তু এই গৃহায়ন প্রকল্পের কাজ প্রথম করেছিল নৌবাহিনী সেন্টমার্টিনে।’