• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

`বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ`    

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 
পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটির অন্যতম সাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। বুধবার বন অধিদফতরে আয়োজিত ‘ডেভেলপিং বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড লিস্ট অব প্লান্টস অ্যান্ড ডেভেলপিং ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি অব এলিয়েন স্পিসিজ অব প্লান্টস ইন সিলেক্টেড প্রোটেক্টেড এরিয়াস’ শীর্ষক কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন রক্ষিত এলাকায় এবং বনাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা দেশীয় প্রজাতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার, বাস্তুতন্ত্রের ধারা পরিবর্তন এবং খাদ্য শৃঙ্খলকে ব্যাহত করার ক্ষমতাসম্পন্ন ভিনদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতি সম্পূর্ণরূপে চিহ্নিতকরণ এবং এদের সঠিক ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে দেশীয় উদ্ভিদ প্রজাতি এবং বনাঞ্চল সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বন অধিদফতরের টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর ১৭টি প্রজাতির বিদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের পাঁচটি রক্ষিত এলাকার (হিমছড়ি, কাপ্তাই ও মধুপুর জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা ও সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য) উদ্ভিদকে সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ৫টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ব্যবস্থাপনা কৌশল জাতীয় বন ও বনজসম্পদ সংরক্ষণে এবং আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখবে।

মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, এ কার্যক্রমের ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতির বিপণন ও বাণিজ্য প্রতিরোধ, বাস্তুতন্ত্র থেকে নির্মূল এবং বিস্তার রোধের মাধ্যমে এসব ভিনদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়া প্রাথমিক শনাক্তকরণ, আমদানিকৃত উদ্ভিদ প্রজাতির জন্য স্ক্রিনিং এবং কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতির মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা সহজ হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –