• মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৬ ১৪৩০

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৪

সর্বশেষ:
আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বশান্তি রক্ষায় সেবা ও ত্যাগে শীর্ষে বাংলাদেশ জুলাইয়ে পরীক্ষামূলক শুরু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানাতে চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের তিনবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এরদোয়ানকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন

নিরাপদ-বাসযোগ্য বিশ্ব গড়তে সহায়তা চাইলেন পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩  

পরিবেশ-বান্ধব সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্নত বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে কোরিয়ার সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং উন্নয়ন অংশীদারদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আয়োজিত গ্লোবাল গ্রিন হাব কোরিয়া ২০২৩-এ ‘গ্রিন গ্রোথ ভিশন’ সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভিযোজন এবং প্রশমন উভয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পরিবেশ, জলবায়ু ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একসাথে কাজ করতে চায়।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশে টেকসই উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কম কার্বন সবুজ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করছে। আমরা শতকরা ১২ ভাগ জনসংখ্যার বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য অফ-গ্রিড এলাকায় ৬০ লাখের বেশি সোলার হোম সিস্টেম ইনস্টল করেছি এবং গ্রামীণ এলাকায় ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত রান্নার চুলা বিতরণ করেছি। পরিবেশ দূষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশ পলুটারস পে প্রিন্সিপল (পিপিপি) ধারণা চালু করেছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু সহনশীল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশের হালনাগাদ ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) এ নবায়নযোগ্য শক্তি এবং সবুজ হাইড্রোজেন শক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রসার, শিল্পে শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি, গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে শক্তি দক্ষতার প্রসার, বর্জ্য থেকে শক্তি এবং বর্জ্যপানি পরিশোধনের মতো অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় ২০২২-২০৪১-এর মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ জ্বালানি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনার কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বিত পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনার সাথে একটি সবুজ বৃদ্ধির কৌশল গ্রহণ করা। আমাদের সরকার টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সম্পদের টেকসই ব্যবহারের জন্য সার্কুলার ইকোনমি চালুর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভিশন ২০৪১ এ সবুজ ট্যাক্স ও কার্বণ মূল্য নির্ধারণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যা শুধু জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে না বরং নবায়নযোগ্য শক্তিতে সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –