বেরোবি অধ্যাপক তৌফিকুলের গবেষণা করাই নেশা
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৩
‘শিক্ষকতার বাইরে পুরো সময়টা গবেষণায় ব্যয় করছি। আমার ধ্যানই গবেষণা ও নতুন জ্ঞান তৈরি করা। যেন এ জ্ঞান থেকে উপকৃত হয় আমার দেশ ও সারা বিশ্বের মানুষ।’
কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং জীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, বর্তমানে তার গুগল স্কলার সাইটেশন দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪০০তে। সেই শ্রমের ফলাফল হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সেরা গবেষক হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি।
ড. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আমার গবেষণার শুরুটা সহজ ছিল না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে জিদ থেকেই গবেষণা শুরু করি। ২০১২ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। তখনো আমার কোনো গবেষণাপত্র ছিল না। চাকরি নিশ্চিত করতে গবেষণার প্রয়োজন হলেও আমার কাছে তা ছিল না। তখন বিপাকে পড়ি। একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কাজ করতে চাইলেও কেউ সঙ্গে নেয়নি। তখন নিজের মধ্যে জিদ তৈরি হলো, গবেষণাকে দেখে ছাড়ব।
তিনি আরো বলেন, এরপর দিন-রাত গবেষণার পেছনে সময় ব্যয় করতে থাকি। অনেক পরিশ্রম করে গবেষণাপত্র তৈরি করে আন্তর্জাতিক জার্নালে পাবলিশ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ব্যর্থ হই। হাই ইম্পার জার্নাল, স্প্রিঞ্জার জার্নালসহ একাধিক জার্নাল থেকেও আমার গবেষণাপত্র বাতিল হতে থাকে। কিন্তু আমিও হাল ছাড়িনি। এভাবে গবেষণাপত্র বাতিল হতে হতে একসময় পাবলিশ করতে সমর্থ হই।
এরপর একে একে ৫ থেকে ৬টি গবেষণা পেপার পাবলিশ হয়। তখন আমার গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। শুরুতে ভালো কোনো জার্নালে আমার গবেষণা প্রকাশিত না হলেও ২-১টি কোয়ালিটি সম্পন্ন গবেষণাপত্র থাকায় চীনের সরকারি স্কলারশিপ পাই। এরপর চীনে গিয়ে দেখি গবেষণার সমুদ্রে এসেছি। সেখানে গবেষণার সুযোগ ও গবেষণার সামগ্রী হাতের নাগালে থাকায় আমিও গবেষণায় মনোযোগী হই এবং গবেষণায় অনুপ্রেরণা পাই। এরপর বিশ্বসেরা জার্নালগুলোতে আমার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হতে থাকে।
ড. তৌফিকুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালে যখন পিএইচডি শেষ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসি, তখনও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। কয়েক বছরের পরিশ্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে গবেষণার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করি। বর্তমানে এ বিভাগের শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় মনোযোগী হচ্ছেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, করোনার সময়টা আমার গবেষণার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ ছিল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের চাপ না থাকায় গবেষণায় পর্যাপ্ত সময় দিতে পেরেছি। তখন আমি চীন, ভারত, সৌদি আরব, ব্রাজিল, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের সঙ্গে গ্রুপভিত্তিক কাজ করেছি। দিনে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য উৎসাহিত করার পাশাপাশি গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করার কথাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ড. তৌফিকুল ইসলাম চীনের নানজিং তথ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রাণিসম্পদের ওপর জলবায়ুর প্রভাব বিষয়ে গবেষণার জন্য তাকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায়ও রয়েছে তার নাম। ড. তৌফিকুল ইসলাম ইসলাম সম্প্রতি থাইল্যান্ডের প্রিন্স অব সঙ্কলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
এছাড়াও গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রথমবারের মতো তাকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- গরমে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করবেন
- মুস্তাফিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে দেবে: শান্ত
- সাংবাদিক হতে গিয়ে যেভাবে নায়িকা হলেন আনুশকা
- শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি
- স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে রংপুরে ঝরল বৃষ্টি
- হাতপাখায় চলে আজিজুলের সংসার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
- সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করে ভোট প্রচারে মোদি
- জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ
- সরকারি অফিস চলবে ‘এআই’ প্রযুক্তিতে
- যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- বোদায় বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার
- বোদায় মহান মে দিবস পালিত
- গরমে পটোল খাওয়ার ৭ উপকারিতা
- শেষ ওভারে মুম্বাইকে হারালো লখনৌ
- শাকিবের বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন আরশাদ আদনান
- ইসলামে শ্রমের মর্যাদা, গুরুত্ব ও অধিকার
- শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ ইইউ ও বাংলাদেশ:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘ইভিএমে ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করবো’
- নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান
- ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
- সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
- নির্বাচনে অনিয়ম হলে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে: ইসি
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন