উত্তরাঞ্চলে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪৫০-৭০০ টাকা
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২
উত্তরাঞ্চলে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪৫০-৭০০ টাকা
চা চাষ প্রকল্পের আওতায় ন্যায্য মজুরিতে বাগান এবং কারখানায় কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে উত্তরাঞ্চলের চা শ্রমিকদের। এখানকার শ্রমিকরা হাতের বদলে কাস্তে দিয়ে পাতা কাটেন। ফলে ছয়-সাত ঘণ্টায় ১৫০-২৫০ কেজি চা সংগ্রহ করেন তারা। এতে তিন টাকা চুক্তিতে ৪৫০-৭৫০ টাকা আয় হয় তাদের। বাকি সময় অন্য কাজও করেন অনেকে। আবার যারা ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত তারা মৌসুম শেষে চা শ্রমিকের কাজ করেন।
পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উত্তরের পাঁচ জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও দিনাজপুরে চা চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে ৯ হাজার ৭৪৭ দশমিক ৮০ একর, ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৩৭০ দশমিক ৩০ একর, লালমনিরহাটে ১৬৮ দশমিক ৮৮ একর, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৩৭ একর এবং নীলফামারী জেলায় ৬৮ দশমিক ৫৯ একর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত এসব এলাকার সমতল জমিতে চা চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় এ পাঁচ জেলায় এ পর্যন্ত ৯ টি নিবন্ধিত ও ২১ টি অনিবন্ধিত এবং এক হাজার ৭৪৫ টি নিবন্ধিত ও ৬ হাজার ৩২২টি অনিবন্ধিত ক্ষুদ্রায়তন পর্যায়ে চা বাগান গড়ে উঠেছে। এর বাইরে এক হাজার ২৬৩ দশমিক ৩৭ একর জমিতে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ চলছে। এসব চা বাগান এবং কারখানায় প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেন।
২০০৫ সালে মাত্র দুটি চা কারখানায় ১ লাখ ৬০ হাজার কেজি তৈরিকৃত চা উৎপাদন হয়। আর ২০২১ সালের ২১টি চা কারখানায় ১ কোটি ৪৫ লাখ কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড করে। বর্তমানে জেলায় ২২টি কারখানায় চা উৎপাদন হচ্ছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও কয়েকটি কারখানা চা উৎপাদন করবে।
তৈরিকৃত চা উৎপাদনে চট্টগ্রামকে ছাড়িয়ে দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পায় উত্তরাঞ্চল চা চাষ প্রকল্প। চলতি চা উৎপাদন মৌসুমে গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদন হয়েছে। এবার গত মৌসুমের চেয়ে প্রায় ৩৫ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা স্থানীয় চা বোর্ডের।
তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র চা বাগান ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকরা সারিবদ্ধভাবে কাস্তে দিয়ে চা পাতা কাটছেন। এসব চা শ্রমিক সকাল ৬টা থেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন। দুপুর ১২টার আগেই তাদের পাতা তোলার কাজ শেষ হয়ে যায়। দিনের মাত্র ছয়-সাত ঘণ্টা কাজ করেই একেক জন চা শ্রমিক ১৫০-২৫০ কেজি চাপ সংগ্রহ করতে পারেন।
উপজেলা সদরের অমরখানা এলাকার চা শ্রমিক আইজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সিলেট চট্টগ্রামের মতো হাত দিয়ে চা পাতা তুলি না। এভাবে তুললে আমাদের পোষায় না। আমরা কাস্তে দিয়ে ৩ টাকা কেজি চুক্তিতে বাগান থেকে কাঁচা পাতা তুলি। প্রতিদিন ভোর ৬ টায় কাজ শুরু করি। দুপুর ১২টার আগেই আমরা একেক জন শ্রমিক ২০০-২৫০ কেজি পাতা কাটতে পারি। তবে নারীরা ১৫০-১৮০ কেজি পর্যন্ত পাতা কাটতে পারে। সেই হিসেবে আমরা ৬০০-৭০০ টাকা পেলেও নারীরা ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। তবে সবাই চাইলে দিনের বাকি সময় অন্য কাজও করতে পারি।’
তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার চা শ্রমিক করিমুল ইসলাম বলেন, ‘আগে পাথর তোলার কাজ করতাম। কিন্তু নদীতে ড্রেজার দিয়ে এবং সমতল জমি খনন করে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এলাকায় পাথরের জমিতে ব্যাপকভাবে চা চাষ হওয়ায় সবাই এখন চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। চা বাগানে আমরা চুক্তিভিত্তিক কাঁচা পাতা তুলি। প্রতিদিন যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চলে, ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাই। চা বাগানে কাজ করে আমাদের অভাব দূর হয়েছে। আমরা ভালো আছি।’
উপজেলা সদরের ধাক্কামারা এলাকার ক্ষুদ্র চা চাষি ও হুমায়রা চা বাগানের স্বত্বাধিকারী এসএম হাসিবুল করিম বলেন, ‘আমার বাগানে তিন টাকা কেজি চুক্তিতে চা শ্রমিকরা পাতা উত্তোলন করেন। একজন শ্রমিক প্রতিদিন ২০০ কেজির বেশি চা পাতা কাটতে পারেন। সেই হিসেবে তাদের ৬০০-৭০০ টাকা মজুরি দিতে হয়। এরপরও স্থানীয় শ্রমিকদের চাহিদা আরও বেশি। তারা আমাদের লাভ লোকসান দেখেন না।’
শ্রমিকদের সচ্ছলতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে শ্রমিকের মূল্য এমনিতেই বেশি। আমরা এর কম দিতে চাইলে শ্রমিক পাওয়া যায় না। বাগান করে ক্ষুদ্র চা বাগান মালিকদের চেয়ে এখানকার শ্রমিকরাই বেশি লাভবান হয়েছেন।’
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উত্তরাঞ্চল চা চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, প্রকল্পের আওতায় দিনদিন চা চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক চা বাগান এবং কারখানায় কাজ করেন। এখানকার চা শ্রমিকদের জীবনমান বেশ উন্নত। এখানে সিলেট বা চট্টগ্রামের চা শ্রমিকদের মতো রেজিস্টার্ড কোনো শ্রমিক সংগঠন নেই। তারা বাগান মালিকদের সঙ্গে তিন টাকা কেজি চুক্তিতে চা পাতা উত্তোলন করেন।
তিনি আরও বলেন, পুরুষরা দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা আয় করলেও নারীরা ৫০০ টাকার মতো পায়। বাগান মালিকদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে এখানকার শ্রমিকদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে, জীবনমান উন্নত হয়েছে এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে।
#জাগো নিউজ।
- প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা হিসেবে দেশকে রক্ষা করেছেন: নওফেল
- ছোট মেয়ের সৎকার শেষে বড় মেয়ের মরদেহের অপেক্ষায় বাবা
- দিনাজপুরে ১২৮৩টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা
- জিএসপি সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলবে যুক্তরাষ্ট্র
- বিশ্ব হার্ট দিবসে দিনাজপুরে বর্নাঢ্য র্যালি ও সেমিনার
- `দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদায় মাছ বড় যোগান দেয়`
- ডিপ্রেশনের যে লক্ষণগুলো কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়
- দুর্গাপূজা উদযাপনে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে: পরিবেশমন্ত্রী
- একদিনেই হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পৌঁছে যাবে বাড়িতে
- গণতন্ত্র নস্যাতে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করছে বিএনপি: এনামুল হক শামীম
- অফিস সময় এক ঘণ্টা বাড়তে পারে
- সুন্দরগঞ্জে জমির জন্য দুই ভাতিজাকে অ্যাসিডে ঝলসে দিলেন চাচা
- পারফেক্ট মেকআপের জন্য সাত নিয়ম
- ৯ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী বন্দরে আমদানি-রফতানি
- করোনা আপডেট: গত ২৪ ঘন্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৭৯
- সীমান্তে জনবল বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- ফের লাঠি নিয়ে এলে বিএনপির খবর আছে : সেতুমন্ত্রী
- দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা জনগণকে জানাতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
- করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৪ দিন পর মিলল নিখোঁজ হিমালয়ের লাশ
- সাঁতার কেটে মৃত্যুকূপ থেকে রক্ষা পেল চার শিশু
- হিলি স্থলবন্দরে ৮ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ
- এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রধান শিক্ষক রিমান্ডে
- ১২ ঘণ্টা পর সৈয়দপুর ছাড়লেন বিমানের সেই ২৫ যাত্রী
- করতোয়ায় পঞ্চম দিনের উদ্ধার অভিযান, এখনো নিখোঁজ ৩
- নৌকাডুবিতে মৃত ৬৯ জনের পরিবার পেল ৫৫ হাজার টাকা
- আমিও বিদেশি ক্লাবে খেলবো : সাফজয়ী স্বপ্না
- অভিষেকেই জামালের বাজিমাত
- মা হওয়ার জন্য বাবা জরুরি নয়: জ্যোতিকা জ্যোতি
- রাগ নিয়ন্ত্রণের দোয়া
- ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
- শুনেই ২৮ পারা কোরআন মুখস্থ করল দৃষ্টিহীন হৃদয়
- ‘চিন্তার কিছু নেই, মুস্তাফিজের সেরাটা এখনো বাকি’
- মাদকের চাহিদা না কমলে আমাদের উন্নয়ন বরবাদ হয়ে যাবে
- দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইন শপ স্বপ্ন এখন কুড়িগ্রামের কলেজ রোডে
- দেশে উৎপাদিত পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে ২৮২ ধরনের পাটজাত পণ্য
- সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে
- অক্টোবর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
- জালিয়াত চক্র থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ
- প্রতিমা বিসর্জনে থাকবে নৌপুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা
- দেশের সব ফিলিং স্টেশন নজরদারিতে থাকবে: নসরুল হামিদ
- দেশে প্রথমবার সড়ক নির্মাণে প্লাস্টিক-টাইলসের ব্যবহার
- বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অবান্তর: শেখ পরশ
- দেশকে সুস্থ রাখতে নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- বিদেশে আ.লীগের বন্ধু আছে, প্রভু নেই: ওবায়দুল কাদের
- সারাদেশে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ৮৭টি সেতু: কাদের
- ভারতের জন্য তৈরি হচ্ছে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
- আমার মায়ের মতো একজনকে হারিয়েছি: রানিকে শেষ শ্রদ্ধায় প্রধানমন্ত্রী
- ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- স্কুলে যাওয়ার পথে ডেকে নিয়ে ছাত্রকে বলাৎকার
- পঞ্চগড়ে শিগগিরই চালু হচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র

