• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগ ধরে নষ্ট এক্স-রে মেশিন

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২৩  

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) পদে কেউ না থাকায় ব্যবহার হয়নি এক্স-রে মেশিন। দীর্ঘদিন যাবত অব্যবহৃত থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে করার যন্ত্রটি। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে Medicor Hunjan ব্রান্ডের এনালগ এক্স-রে মেশিনটি বসানো হয়। তখন থেকে সরকারি ফি দিয়ে এক্স-রে'র সুবিধা পেয়েছিল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। কিন্তু গত ১২ বছরের অধিক সময় ধরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে থাকলেও নতুন কোন মেশিন স্থাপন করা হয়নি কিংবা চেষ্টা করেও পুরোনোটি মেরামত করা যায়নি।

সূত্রটি আরো জানায়, গত ৭ নভেম্বর একজন টেকনোলজিস্টকে (রেডিওগ্রাফি) দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করেন জেলা সিভিল সার্জন। কিন্তু তিনি এখানে এসে এক্স-রে মেশিনটি চালুর চেষ্টা করেও পারেনি। পরে নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে। মূলত দীর্ঘদিন থেকে রেডিওগ্রাফির কোন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। যন্ত্রটির নিয়মিত ব্যবহার হলে এমনটি হতো না।

এদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করে তারপর সেটি ডাক্তারকে দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। এছাড়া সরকারি এক্স-রে ফি ১১০ টাকা হলেও বাহিরে সেটা নেয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এতে করে বিড়ম্বনা বেড়েছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের।

পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। পুরনো মেশিনটি মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একজন রেডিওগ্ৰাফি নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে এখনো কিছু ত্রুটি থাকায় যারা মেরামতকারী আছে তাদের সাপোর্ট নিয়ে এক্স-রে মেশিন মেরামত করার চেষ্টা করা হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –