• বৃহস্পতিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ||

  • পৌষ ৭ ১৪২৯

  • || ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৪

সর্বশেষ:
১০০ সড়ক-মহাসড়ক জাতির জন্য বিজয়ের মাসের উপহার: প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র নয়, বিএনপির মেরামত দরকার: তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ কাউনিয়ায় ৫ হাজার হতদরিদ্রকে বিনা মূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা প্রদান সরকারদলীয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় উন্নয়ন হয়নি: ডালিয়া বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে নাশকতা করেছে: শাজাহান খান

সব সুযোগ-সুবিধা ভোগের পর বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ!

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২২  

সব সুযোগ-সুবিধা ভোগের পর বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ!                 
গণসমাবেশে বিএনপির ৭ এমপি সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির এ এমপিদের এমন পদত্যাগকে হাস্যকর বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, বিগত ৪ বছর ধরে একজন এমপি হিসেবে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পর এমন পদত্যাগ ভিত্তিহীন। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপির এমপিরা প্রত্যেকেই ক্ষমতালোভী ও ভণ্ড। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের গণসমাবেশ থেকে পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে, সুবিধা ভোগের পর বিএনপির এমপিদের এমন পদত্যাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। সবাই বলছেন, এতো সুবিধা নিয়ে এখন কেন পদত্যাগ?

বিএনপির সমর্থকরা বলেছেন, পদত্যাগ করা ৭ এমপি নাকি সরকার থেকে কোনোরকমের সুবিধা নেননি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপি থেকে নির্বাচিত হওয়া প্রতিটি নেতাই এমপি হয়ে সবরকমের সুবিধা গ্রহণ করেছেন।

বিএনপির পদত্যাগ করা ৭ এমপি যেসব সুবিধা পেয়েছেন, তা তুলে ধরা হলো-

সংসদ সদস্যদের মাসিক বেতন ৫৫ হাজার টাকা। বিএনপির প্রতিটি এমপি এ বেতন নিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার ভাতা প্রতি মাসে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। বিএনপির প্রতিটি এমপি এ ভাতা নিয়েছেন। সঙ্গে নিয়েছেন প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা। নিয়েছেন শুল্কমুক্তভাবে গাড়ি আমদানির সুবিধা। প্রতি মাসে পরিবহন ভাতা নিয়েছেন ৭০ হাজার টাকা। নির্বাচনী এলাকায় অফিস খরচের জন্য নিয়েছেন প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিমাসে লন্ড্রি ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা। মাসিক ক্রোকারিজ, টয়লেট্রিজ কেনার জন্য ভাতা ৬ হাজার টাকা। দেশের অভ্যন্তরে বার্ষিক ভ্রমণ খরচ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। স্বেচ্ছাধীন তহবিল বার্ষিক ৫ লাখ টাকা। বাসায় টেলিফোন ভাতা বাবদ প্রতি মাসে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮০০ টাকা।

সংসদ সদস্যদের জন্য সংসদ ভবন এলাকায় এমপি হোস্টেল আছে। সেখানে একাধিক দিন বিভিন্ন কর্মীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে রুমিন ফারহানাকে। এছাড়া বিএনপির এই ৭ এমপি সবাই প্রতিবছর ৪ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছেন।

দাফতরিকভাবে এসব সুবিধার  বাইরেও  নানা সুবিধা রয়েছে সংসদ সদস্যদের জন্য। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় নানা প্রকল্পে প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দের ক্ষেত্রে তাদের  অগ্রাধিকার অন্যতম।

নির্বাচিত ব্যক্তি হিসেবে একজন সংসদ সদস্য তার এলাকায় সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বিএনপির এই সাত এমপিও এসব সুবিধা নিয়েছেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –