আলিয়া এখন স্কুলে যায় ।। রহিমা আক্তার মৌ
প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮
আলিয়াকে শহরে রেখে এখানকার স্কুলে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। ওর মা বাবা এদিক ওদিক অনেক স্কুল খুঁজেছে, স্কুল পেয়েছে কিন্তু ভর্তি করাতে পারেনি।
এখানকার সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়, লটারি হয়। আলিয়ার যে বয়স সে বয়সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার কথা, কিন্তু ও যে লেখাপড়া দেরিতে শুরু করেছে। ও যেটুকু লেখাপড়া পারে সে হিসাবে ওকে প্লে ক্লাসের পড়তে হবে।
তেজগাঁও ফার্মগেট এলাকার হলিক্রস স্কুল গেইটের ভিতরে আলাদা একটা স্কুল আছে, সে স্কুলে গরিব বাচ্চারা পড়ালেখা করে। আলিয়াকে নিয়ে সেখানে যাই। স্কুলের বড় আপার সাথে কথাও হয় আমার। যেদিন প্রথম ক্লাস শুরু হয় সেদিন ওকে নিয়ে আমি যাই। বড় আপা অন্য বাচ্চাদের সাথে ওকেও পিটি ক্লাসে (এসেম্বলি) দাঁড় করায়, আমি ছবি তুলি। আলিয়ার মা সালমা সে ছবি দেখে খুব খুশি।
আফা মাইয়াডা এই ইসকুলে হড়ালেয়া কইত্তে হাইরব তো।
পারবে পারবে, সালমা তুমি একটুও চিন্তা করিও না।
সালমাকে সান্তনা দিলাম, ভর্তি করালাম, অবশ্য ভর্তি করতে টাকা লাগেনি। দুপুর ১২ টায় ক্লাস শুরু বিকেল তিনটায় ছুটি। আলিয়া কয়েকদিন ক্লাসে যায়, মাঝে মাঝে ওকে সামান্য টিফিন কিনে দিই। হঠাৎ একদিন সালমা এসে বলে-
আফা মাইয়াডারে বাড়ি হাডাই দিবো।
কেনো? কি হয়েছে?
ওর আব্বায় কয় ইয়ানো হড়ালেয়া অইবো না। ইসকুলে নাকি কিছুই হড়ায় না।
দেখি জামাইয়ের সাথে আমি কথা বলবো আসতে বলিস।
আন্নের কতা কইলে আইতো নো, হেতে ঠিক বুঝবো আঁই কিছু কইছি আন্নেরে।
কথাটা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আলিয়াকে স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ ১-৫০ ABC সবই শিখিয়ে দিলাম, স্কুলেও ভর্তি দিলাম কিন্তু ওকে শহরে রাখা আমার জন্যে সম্ভব নয়।
রৌদ্র অভ্র বলে আলিয়াকে আমার কাছেই রেখে দিতে কিন্তু এটা সম্ভব নয়। চারদিন পর আলিয়াকে ওর বাবা গ্রামে নিয়ে যায়। আলিয়ার মা বাবা শহরে কাজ করে, গ্রামে থাকে ওর দাদা দাদী। বছরের তিনমাস চলে গেলেও সমস্যা হয়নি স্কুলে ভর্তি করতে। কিন্তু গ্রামে ওর মন টিকে না, বারবার শহরে আসতে চায়। সালমা এসে আমায় বলে এসব।
আচ্ছা সালমা তোমার শ্বশুর শাশুড়ির কাছে কি মোবাইল আছে।
আছে আফা।
নাম্বারটা নিয়ে এসো আমি কথা বলবো আলিয়ার সাথে।
সালমা নাম্বার নিয়ে আসলে কথা বলি আলিয়ার সাথে। ওর অনেক কথা শুনি। ছোট ভাইবোন কে ছেড়ে ওর থাকতে খুব কষ্ট হয়। মা যখন কাজে যায় বাবু দুটা একা থাকে এটা আলিয়াকে খুব কষ্ট দেয়। আর গ্রামের স্কুল অনেক দুরে, ওকে হেঁটে হেঁটে যেতে হয়। তাই ও গ্রামে থাকতে চায় না।
কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারি আরো বুঝতে পারি, থাকতে না চাওয়ার আরো বিষয় আছে। এখানকার স্কুলে স্কুল ড্রেস ছিলো ওকে বানিয়ে দিব বলেছিলাম। গ্রামের স্কুলে ড্রেস থাকলেও পরা বাধ্যতামূলক নয়। তাই ওকে ড্রেস বানিয়ে দেয় নি, তাই ওর মন বেশি খারাপ। সালমার সাথে আলাপ করে আলিয়ার স্কুলের ড্রেস বানিয়ে দিতে বলি। আর আলিয়াকে বলি বাবুদের জন্যে চিন্তা করিস না, ওরা গ্যারেজে খেলা করে।
স্কুল ড্রেসের সাথে আলিয়ার জন্যে একটা ব্যাগ কিনে পাঠাই। এসব দেখে ও খুব খুশি হয়। প্রতিদিন ড্রেস পরে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায় ও। মজার বিষয় হলো সালমা আমাকে আফা ডাকে, আলিয়াও আফা ডাকে। মাঝে মাঝেই মোবাইলে কথা হয় আলিয়ার সাথে। ও নিজেই স্কুলের গল্প বলে। আরো বলে ও অনেক কিছু শিখছে। এখন বর্ণ মিলিয়ে মিলিয়ে ও শব্দ বানাতে পারে। আমায় বলে-
আপা আমি কিন্তু বানান করে পড়তে পারি।
আচ্ছা বলতো আপা কি করে হয়?
হাহাহাহা করে হেসে উঠে বলে--
স রে আ প আ কার পা আপা।
কিরে আগে যে আফা বলে ডাক দিতি।
আমি এখন শিখে গেছি আপা, আমি এখন প্রত্যেকদিন স্কুলে যাই।
ঠিক আছে, কয়েক ক্লাস পাশ দে, পরে ঢাকায় আসিস।
ঠিক আছে আপা।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- `নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে`
- সরকারি গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
- সংসদ অধিবেশন চলবে ৯ মে পর্যন্ত
- ভারত-বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর বন্যার তথ্য আদান-প্রদান শুরু
- পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়
- গরমে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করবেন
- মুস্তাফিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে দেবে: শান্ত
- সাংবাদিক হতে গিয়ে যেভাবে নায়িকা হলেন আনুশকা
- শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি
- স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে রংপুরে ঝরল বৃষ্টি
- হাতপাখায় চলে আজিজুলের সংসার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
- সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করে ভোট প্রচারে মোদি
- জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ
- সরকারি অফিস চলবে ‘এআই’ প্রযুক্তিতে
- যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- বোদায় বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার
- বোদায় মহান মে দিবস পালিত
- অবশেষে আজ তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল