`শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন`:পাকিস্তানের ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’
প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২

`শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন':পাকিস্তানের ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের পত্রিকা ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’। ‘টেক অ্যাওয়ে ফ্রম বাংলাদেশ’স লিডারশিপ’ শিরোনামে গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) প্রকাশিত নিবন্ধটির লেখক সাহেবজাদা রিয়াজ নূর। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সাহেবজাদা রিয়াজ নূর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খোয়া প্রদেশের মুখ্য সচিব ছিলেন।
বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে রিয়াজ নূর বলেন, এই উন্নয়নের কৃতিত্ব দেশটির নেতৃত্বকে দেয়া যেতে পারে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন, এই সেতুকে দেশের ‘গর্ব ও সামর্থ্যের প্রতীক’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
নিবন্ধে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯০ এর দশক থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা এবং পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তিনি রাজনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে অর্থনৈতিক নীতির ভারসাম্যের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা তার বাবার সমাজতান্ত্রিক এজেন্ডা থেকে বাজারভিত্তিক পুঁজিবাদী প্রবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেন। তিনি অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলো থেকে শিখেছেন, যাদের অর্থনৈতিক সাফল্যের ভিত্তি চারটি। এই ভিত্তিগুলো হলো- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক উন্নয়ন, রপ্তানিকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাণিজ্য নীতি উদারীকরণ এবং আর্থিক সংযম।
একটি সম্মেলনে এক অর্থনীতিবিদ যখন তাকে বাণিজ্য উদারীকরণের সুবিধা সম্পর্কে বলছিলেন, শেখ হাসিনা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, বাণিজ্য উদারীকরণের বিষয়ে আমাকে বোঝাতে হবে না। আমি যখন যুগোশ্লাভিয়া সীমান্তবর্তী ইতালির শহর ত্রিয়েস্তে আমার পদার্থবিদও পরমাণু বিজ্ঞানী স্বামীর সঙ্গে থাকতাম, তখন দেখেছি, সীমান্ত সপ্তাহে তিন বার খোলা থাকছে এবং দুই পাশ থেকে মানুষ যাতায়াত করছে। পণ্য কিনছে এবং আবার ফিরে যাচ্ছে।’ এতে এটিই প্রমাণ হয়, রাজনীতিবিদরা সাধারণত যে সব বিষয়ে আকৃষ্ট হন, তার পরিবর্তে শেখ হাসিনা অর্থনীতির দিকে আন্তরিকভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন।
১৯৭১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে জবাবদিহিতার অভাব এবং সামরিক শাসনের প্রভাব থাকলেও ২০০৯ সাল থেকে সেনাবাহিনী অন্তরালে রয়েছে। বেসামরিক সরকারগুলোর ঘন ঘন পা পিছলে পড়া এবং সরকারগুলোর সামান্য বৈধতা বা অবৈধতার অভিজ্ঞতা পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির গণতান্ত্রিক ইতিহাস মোটেই নিষ্কলঙ্ক নয় এবং এখানকার সরকার দুর্নীতি ও অদক্ষতার বিষয়ে জনসাধারণের সমালোচনা বারবার এড়িয়ে গেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দূরদর্শী এবং দৃঢ় প্রত্যয় ধারণ করেছেন।
তিনি মনে করেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিই দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের একমাত্র উপায়।
বিরোধীদেরকে বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ থাকলেও ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে দেশটি ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল, কিন্তু এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী।
পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ অংশে জনসংখ্যা ১ কোটি বেশি ছিল। আর এখন পাকিস্তানের ২৩ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ৪৭ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ২৮ বিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানের ১ হাজার ৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার। বাংলাদেশে ২০২২ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪১১ বিলিয়ন, পাকিস্তানে তা ৩৪৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ, পাকিস্তানে আগে যা ছিল ১২-১৫ শতাংশ। পাকিস্তানে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ২১ শতাংশ হয়েছে। ভবিষ্যতে এই হার আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, পাকিস্তানি রুপির তুলনায় বাংলাদেশি টাকা অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অধিক হারে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাক্ষরতার হার অনেক বেশি।
বাংলাদেশের উদাহরণ অনুসরণ করে পাকিস্তানি নেতৃত্বকে অবশ্যই জাতীয় লক্ষ্য হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ অনুসরণ করতে হবে এবং আঞ্চলিক শান্তির পাশাপাশি সাংবিধানিক শাসনকে এগিয়ে নিতে হবে।
কার্যকর প্রতিরক্ষার সঙ্গে আপস না করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। আঞ্চলিক বাণিজ্য উদারীকরণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ভারত, ইরান, চীন, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধির মডেল তৈরির ক্ষেত্রে উচ্চ-মূল্য-সংযোজিত পণ্যের ওপর ফের জোর দেয়া উচিত।
পাকিস্তান তুলনামূলক সস্তা শ্রমের যে সুবিধা ভোগ করছে সেটিকে উন্নত দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে নারীদের জন্য শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি নিরাপদ এবং অনুকূল আইনি পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কৃষি আয়ের ওপর একটি ন্যায্য কর আরোপের শক্তিশালী প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন। ধনী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের যথাযথ অবদান রাখতে হবে। বড় কর্পোরেট ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোকে করের আওতায় আনতে হবে।
পাকিস্তানের নেতৃত্ব বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তবে প্রধান পদক্ষেপটি হওয়া উচিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারের বিষয়টি অনুসরণ করা, যা প্রতিরক্ষা এবং গণতন্ত্র উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: বাসস
- পৃথিবীতে ফিরে এলেন সৌদির সেই নারী নভোচারী
- ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা আজ
- সরকারের ঋণ কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা থাকছে বাজেটে
- সংসদ ভাঙলেও বহাল থাকবে সরকার
- সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৪০ হাজার ৬৬৩ হজযাত্রী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ করুন- প্রধানমন্ত্রী
- ‘পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হয়েছে’
- ৫৭ ইউপিতে ভোট ১৭ জুলাই
- প্রাথমিকে ৪-১০ জুন কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে
- জুনে সুইজারল্যান্ডে সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে বাড়তি ২ মিলিয়ন টন এলএনজি দেবে কাতার
- প্রবাসীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- `বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ`
- ‘সরকার দেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’
- বেরোবিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
- সরকারি খরচে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত
- ফের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি, কয়েকদিন অব্যাহতের শঙ্কা
- শিগগিরই সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে: নিজামুল হক
- শিশুদের উন্নয়নে কাজ করবে শিশু কল্যাণ বোর্ড: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- বাংলাদেশি শিশুর চিঠির জবাব দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
- মহার্ঘ ভাতা চিরতরে দূর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- দেশের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে: পাটমন্ত্রী
- মুক্তিযুদ্ধে অভিনেতা ফারুকের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী
- শিশুদের উন্নয়নে কাজ করবে শিশু কল্যাণ বোর্ড: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- গরমে ত্বক থাকুক ঘামাচিমুক্ত
- মূল্যবোধ সৃষ্টিতে শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে: দুদক কমিশনার
- `এশিয়ায় সবচেয়ে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি বাংলাদেশে`
- সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
- ঈদে সদরঘাটে যাত্রী সামাল দিতে প্রস্তুত আছি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- স্বাস্থ্যখাতে ৩ বছরে ৭০ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে
- ‘উন্নয়নে কোরিয়ার সাফল্য বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করেছে’
- দেশকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছেন শেখ হাসিনা: আইনমন্ত্রী
- মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হবে না: ওবায়দুল কাদের
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ ছাত্রলীগের
- করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৭
- `নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে`
- পঞ্চগড়ে বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠায় বিজিবির আপত্তি নেই: মহাপরিচালক
- দাপট দেখাবে কালবৈশাখী, বৃষ্টিতে ভিজবে সব বিভাগ
- দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন
- চলতি হজ মৌসুমের নতুন লোগো প্রকাশ
- দেশে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে
- কূটনীতিকদের আনসার কীভাবে নিরাপত্তা দেবে, তা চূড়ান্ত
- গাজীপুরে শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট হচ্ছে: ইসি আলমগীর
- ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উন্নয়নই একটি দেশের মূল উন্নয়ন’
- মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে অভিযান
- ‘নিজেকে জনগণের সেবক মনে না করলে চাকরি করার দরকার নেই’
- বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া, হুমকি দিয়ে শ্বশুরবাড়ি ভাংচুর করল ঘরজামাই
- তিন ক্যাটাগরির প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ‘সরকারি স্কুল’ লেখার অনুমতি
- কুড়িগ্রামে পৃথক অভিযানে ১৭ জন গ্রেফতার